গ্রিন করিডর দিয়ে SSKM-এ পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

গ্রিন করিডর দিয়ে SSKM-এ পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

af6f16ec14beb3108fddbc2a2394c828

কলকাতা: নন্দীগ্রাম থেকে গ্রিন করডর দিয়ে এসএসকে এম হাসপাতালে নিয়ে আসা হল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে৷ ২ ঘণ্টা ২০ মিনিটের মধ্যে নন্দীগ্রাম থেকে পৌঁছয় তাঁর কনভয়৷ ৬ বিভাগীয় প্রধানকে নিয়ে প্রস্তুত মেডিক্যাল বোর্ড৷ এসএসকেএম-এ পৌঁছেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এদিকে, হাসপাতালে স্লোগান তুললেন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা৷  

আরও পড়ুন- নিজের আর দলের হারের লক্ষণ! নন্দীগ্রামের ঘটনায় মমতাকে একহাত পীযুষের

মুখ্যমন্ত্রীর জন্য গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডে রয়েছে নিউরো সার্জারি, জেনারেল সার্জারি, অর্থোপেডিক, জেনারেল মেডিসিন, ইমার্জেন্সি বিভাগ৷ রয়েছে অ্যানেসথেসিয়া বিভাগও৷ উডবার্ন ইউনিটে চিকিৎসা শুরু হয়েছে তাঁর৷ মূলত পায়ে চোট রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর৷ উডবার্নে উপস্থিত রয়েছেন অর্থোপেডিক চিকিৎসকরা৷ করা হবে এক্সরে৷ ইতিমধ্যেই তৃণমূল নেতারা এসএসকেএম-এ আসতে শুরু করে দিয়েছেন৷ অখিলেশ যাদব এবং অরবিন্দ কেজরিওয়াল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খোঁজ নিয়েছে বলে খবর৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চোট গুরুতর বলেই মনে করা হচ্ছে৷ তবে তাঁকে ভর্তি করা হবে কিনা, তা এখনও জানা যায়নি৷ নন্দীগ্রাম থেকে গাড়িতে ওঠার সময় থেকেই তিনি বাড়ি ফেরার কথা বলছিলেন৷ তবে সবটাই নির্ভর করছে চিকিৎসকদের উপরে৷  

এসএসকেএম-এ মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় পৌঁছনোর পরেই সেখানে উপচে পড়েছিল তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের ভিড়৷ সেখানে স্লোগান তোলেন তাঁরা৷ পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে৷ এদিন রেয়াপাড়ার বাড়ির সামনে পৌঁছনোর পর কিন্তু গাড়ি থেকে তাঁকে নামোন যায়নি মুখ্যমন্ত্রীকে৷ তাঁর পা ফুলে গিয়েছিল৷ এখনও পরিস্থিতি একই রকম রয়েছে৷ 

আরও পড়ুন- ধুলাগড়ের আগে মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ে ঢুকল ICU সাপোর্টেড অ্যাম্বুলেন্স

এদিকে হাসপাতালে হায় হায় বিজেপি স্লোগান ওঠে৷ তৃণমূল সমর্থক চিকিৎসকরাও স্লোগান তোলে৷ রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দেখানো হয়৷ রাজ্যপাল বিজেপি’র দালাল বলে স্লোগানিং করা হয়৷ পুলিশ তাঁদের শান্ত হওয়ার আর্জি জানায়৷ পরে তাঁরা স্লোগান বন্ধ করে৷ কবে রাজ্যপাল হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে আসার সময় একইভাবে তাঁরা বিক্ষোভ দেখাবেন বলে প্রস্তুত রয়েছে৷ 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *