কলকাতা: চোখ রাঙাচ্ছে মারণ করোনা৷ ক্রমশ বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা৷ সংক্রমণ রুখতে ঘরবন্দি গোটা বাংলা, দেশ৷ চলছে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা৷ কিন্তু দেশের জেলবন্দিদের কী হবে? এবার সেই জেলবন্দিরে মুক্তির বিষয়েও জোর সওয়াল করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
সুপ্রিম কোর্টের সুপারিশ অনুযায়ী এবার বাংলার জেল বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার প্রসঙ্গ তুলেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আদালতের অনুমতি নিয়ে তাঁদের দু’মাসের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে মুক্তি দেওয়া যায় কি না তা নিয়ে মুখ্যসচিবকে বিষয়টি দেখতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
আজ নবান্ন সভাঘরে উচ্চপর্যের বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সেখানে আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে জেল বন্দিদের মুক্তির বিষয়টি তোলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ জানান, ‘‘আমার মনে হয় জেলে যারা আছেন, এটা একটা মানবিক সময় এসেছে৷ অনেকে, অনেক অন্যায় করে জেলে থাকেন৷ যদি বিচারাধীন বন্দির যদি আমি ধরি, মোট ১০২৫, বন্দি আছেন ১১৩৯ জন, এদের মধ্যে ষাটোর্ধ্ব যারা আছেন, ১১৬জন, সাজাপ্রাপ্ত যারা আছেন যাঁরা, যদি আদালত অনুমতি দেয়, দেখে নিন যদি আদালত অনুমতি নিয়ে তাঁদের প্যারোলে দু’মাস ছেড়ে দিতে পারি৷ অন্তত তাঁরা বাড়িতে কিছুদিন থাকবে৷’’
অন্যদিকে, আজ করোনা পরস্থিতিতে মধ্যপ্রদেশের ৫০০০ সাজাপ্রাপ্ত বন্দিকে ৬০ দিনের জন্য প্যারোলে মুক্তি দেওয়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ বিচারাধীন ৩ হাজার কয়েদিকে ৪৫ দিনের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মধ্যপ্রদেশ সরকার৷ যদিও, রাজ্যে সংশোধনাগারে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে বন্দিদের মুক্তি দেওয়া আদৌ সম্ভব কি না, তা জানতে এবার উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করেছে কলকাতা হাইকোর্ট৷ আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে বিশেষ কমিটি প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা৷ ওই রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে আদালত৷