কলকাতা: কেটেছে সংঘাত৷ অমলা স্তরে চিঠি চালাচালির পর্ব শেষ হয়েছে৷ কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দলকে পূর্ণ সহযোগিতা করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে রাজ্য৷ এই নিয়ে বিতর্ক শেষ হয়েও হচ্ছে শেষ৷ আজ দিনঘরে ঘরে বসেই সময় কাটাল কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক দল! কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক দল যখন গৃহবন্দি, ঠিক তখনই দ্বিতীয় দফায় পথে নেমে নিজের হাতে মাইন হাতে করোনা সচেতনতা প্রচার শুরু করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ যে কোনও প্রয়োজনে পুলিশ সাহায্য পাওয়া যাবে বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷
আজ নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী সোজা চলে যান বেশ কয়েকটি এলাকায়৷ নিজের গাড়ির উপর মাইক বেঁধে লকডাউন বিধি মেনে চলার জন্য স্থানীয়দের বার্তা দেন৷ জানান, কষ্ট হলেও বাড়িতেই থাকুন৷ কোন সমস্যা হলে পুলিশকে জানান৷ পুলিশ সমস্ত ব্যবস্থা করে দেবে৷ আজ বিকালে পার্ক সার্কাস, বালিগঞ্জ ফাঁড়ি, খিদিরপুর এলাকায় গিয়ে স্থানীয়দের লকডাউন বিধি মেনে চলার পরামর্শও দেন মুখ্যমন্ত্রী৷
অন্যদিকে, করোনা বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী যখন পথে নেমে সচেতনতার বার্তা দিচ্ছেন, ঠিক তখন ৪৮ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও গৃহবন্দি কেন্দ্রের দল৷ সোমবার বিকালে কিছু সময়ের জন্য কেন্দ্রীয় দল যাদবপুর হয়ে টালিগঞ্জ এলাকায় ঘুরেছে বটে, কিন্তু কারও সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়নি৷ উত্তরবঙ্গে থাকা দলের অবস্থাও কার্যত এক৷ শিলিগুড়িতে এসএসবির গেস্ট হাউসে রয়েছে কেন্দ্রের দ্বিতীয় দল৷ কিন্তু, দুই দলের কোনও প্রতিনিধি বুধবার এক বারের জন্যও বাইরে বেরতে দেখা যায়নি৷ কিন্তু, কেন তাঁরা এলাকা পর্যবেক্ষণে যাচ্ছেন না? কোথায় কোনও সমস্যা হচ্ছে? রাজ্যের তরফে সাহায্যের আশ্বাসের পরেও কেন নিজেদের কাজে নামল না ওই প্রতিনিধি দল? প্রশ্ন তুলছেন পর্যবেক্ষক মহলের একাংশ৷