‘জয় শ্রীরাম মন্ত্রে ভয় পেয়ে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী, তাই সভা করতে দিচ্ছেন না’, তোপ অর্জুনের

‘জয় শ্রীরাম মন্ত্রে ভয় পেয়ে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী, তাই সভা করতে দিচ্ছেন না’, তোপ অর্জুনের

 

নিজস্ব সংবাদদাতা, ডায়মণ্ডহারবার: ‘জয় শ্রীরাম মন্ত্রে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভয় পেয়ে যাচ্ছেন। ভয় পেয়ে বিজেপির কোন রকম সভা করার জন্য জায়গা দিতে চাইছে না।’ মঙ্গলবার ডায়মন্ডহারবার শহরে বিজেপি আয়োজিত রক্তদান শিবিরে উপস্থিত হয়ে এমনটাই মন্তব্য করলেন বিজেপি নেতা তথা বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং। এদিনের রক্তদান শিবির থেকে লাগাতার রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে অর্জুন বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী ২০১১সালের বাজেট অধিবেশনে বলেছিলেন রাজ্যের ৯০ শতাংশ কাজ হয়ে গিয়েছে। যদি ৯০ শতাংশ কাজ হয়ে থাকে তাহলে আপনি ভয় পাচ্ছেন কেন?’’

অর্জুন সিংয়ের কথায়, রাজ্যের কোন রাজনৈতিক দলকে সভা করতে দিচ্ছে না এ রাজ্য সরকার। তিনি আরও বলেন, রাজ্য সরকারের একটি নতুন প্রাইভেট কোম্পানি হয়েছে ‘পিসি ভাইপো’ প্রাইভেট কোম্পানি৷ যার মালিক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দাবি অর্জুনের৷ একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে মানুষের সঙ্গে বেইমানি করে যে সকল কাটমানি পাওয়া যাচ্ছে তা ওই প্রাইভেট কোম্পানিতে গিয়ে জমা হচ্ছে।’’ 

সম্প্রতি রাজ্যের মন্ত্রী জানিয়েছে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রাণহানির হতে পারে, এই মন্তব্যে অর্জুন বলেন, ‘‘এই রাজ্যের যদি মুখ্যমন্ত্রী যদি নিজে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে তাহলে রাজ্যের মানুষকে কীভাবে নিরাপত্তা দেবে। মুখ্যমন্ত্রীর উচিত, প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে নিজের নিরাপত্তার জন্য কেন্দ্রীয় নিরাপত্তার আবেদন করতে।’’ অর্জুন সিং তার প্রাক্তন দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, ‘‘আমি যখন তৃণমূলে ছিলাম তখন ছিলাম গুড বয়, এখন যখন আমি বিজেপিতে চলে এসেছি তখন আমি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে হয়ে গেলাম ব্যাড বয়৷ আমার বিরুদ্ধে এখন ৯৭টি মামলা দায়ের করেছে রাজ্য সরকার।’’

বিজেপি সাংসদের দাবি, ‘‘গোর্খাল্যান্ড নিয়ে যে আন্দোলন হয়েছিল সেই আন্দোলনের নেতা ছিল বিমল গুরুং৷ তার বিরুদ্ধে পুলিশ খুনের মত ১১০ টি মামলা ছিল৷ পুলিশের চোখে তিনি ফেরার আসামি ছিলেন, যখন বিমল গুরুং তৃণমূলে যোগদান করলো তখন পুলিশি তাকে নিরাপত্তা দিয়ে পাহাড়ে পৌঁছে দিচ্ছে।’’ বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডার কনভয়ে হামলার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অর্জুন বলেন, ‘‘আমি জানি না, আমি কোন দল করছিলাম আগে। এতদিনে যে দলের সামান্যটুকু জ্ঞান নেই, যে কোন রাজনৈতিক দল সভা করতেই পারে, তার জন্য গুন্ডাবাহিনী পাঠিয়ে একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের ওপর হামলা করা হয়। জোর করে তৃণমূল ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করছে৷ আগামী ভোটে মানুষ যদি ভোট দেয় তাহলে এই দলটি মুছে যাবে৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *