কলকাতা: রাজ্য-রাজ্যভবন সংঘাত আবহে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ প্রথা অনুযায়ী স্বাধীনতা দিবসের বিকেলে চা চক্রে মুখ্যমন্ত্রী-সহ বিশিষ্টদের আমন্ত্রণ জানিয়ে থাকেন রাজ্যপাল৷ আজ বিকেলে রাজভবনের চা চক্রে আমন্ত্রিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ কিন্তু বিকেলের পরিবর্তে সকাল-সকাল রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে ‘আড্ডা’ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ কেন তাঁর এই সফর বদল? কী নিয়ে সাক্ষাৎ? খোলামেলা জবাব দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী৷
আজ দেশের ৭৪ তম স্বাধীনতা দিবসে সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ রেড রোডে রাজ্য সরকারের মূল অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার পর সরাসরি রাজভবনে চলে যান মুখ্যমন্ত্রী৷ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে বারাকপুরে গান্ধীঘাটে ছিলেন রাজ্যপাল৷ তিনিও তাঁর পূর্বনির্ধারিত সূচি সেরে ফিরে যান রাজভবনে৷ মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপাল কার্যত কয়েক মিনিটের পার্থক্যে রাজভবনে প্রবেশ করেন বলে খবর৷
এদিন রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ রেড রোডের সরকারি অনুষ্ঠান শেষে রাজভবনে চলে যান মুখ্যমন্ত্রী৷ সেখানে রাজ্যপালের সঙ্গে তাঁর সৌজন্য সাক্ষাত হয়৷ আজ বারাকপুরে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন রাজ্যপাল৷ সেখানে তিনি ফের রাজ্যের হিংসামুক্ত নির্বাচনের পক্ষে সওয়াল করেন৷ এর আগে একাধিক ইস্যুতে রাজভবনে সঙ্গে সংঘাত বেড়েছে নবান্নের৷ আর সেই আবহে স্বাধীনতা দিবসে রাজ্যপাল-মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক আলাদা গুরুত্ব রয়েছে বলে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষক মহলের একাংশ৷
আজ রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পর মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, বিকেলে রাজভবনে রাজ্যপালের চা-চক্রে তিনি থাকতে পারবেন না৷ তাই সকালেই সচিবদের নিয়ে ‘আড্ডা’ দিয়ে এলেন৷ সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, ‘‘আমরা গর্বিত আমাদের স্বাধীনতা দিবসের দিনটির জন্য৷ এই দিনটি আমাদের কাছে প্রিয়, পবিত্র এবং গৌরবের৷রাজ্যপালের এখানে বিকেলে একটা চা চক্র ছিল৷ বিকেলে আমরা আসতে পারবো না বলে প্যারেডের পর আমরা নিজেরাই চলে এসেছিলাম৷ আমি আমার সঙ্গে (সচিবদের নাম উল্লেখ করে) এই পাঁচজন মিলে রাজ্যপালের সঙ্গে আড্ডা মেরে গেলাম৷ আর স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে গেলাম৷’’ – বাঁদিকে রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীর ফাইল ছবি, ডাকনিকে রাজভবন চত্বরে মুখ্যমন্ত্রী৷