কলকাতা: আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীসহ কুড়ি জনের বিরুদ্ধে বুধবার চার্জশিট জমা দিয়েছিল হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিশ। সেখানে ৩০৭ সহ বিভিন্ন ধারা দেওয়া হয়েছে। হেয়ার স্ট্রিট থানার মামলায় নওশাদকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে নিউ মার্কেট থানা থেকে নতুন করে ১৫ দিনের হেফাজত চাওয়া হয়েছিল পুলিশের তরফ থেকে। সেই আবেদন মঞ্জুর হয়েছে। অর্থাৎ নওশাদকে ফের পুলিশি হেফাজত হয়েছে।
আরও পড়ুন- লিভইন পার্টনারকে খুন করে রেখেছিলেন ধাবার ফ্রিজে, কয়েক ঘণ্টা পরই বিয়ে করেন সাহিল!
এদিন শুনানির শুরুতেই আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, যেখানে কেউ আহত নেই সেখানে কী ভাবে ৩০৭ ধারা, অর্থাৎ খুনের চেষ্টার ধারা দেওয়া হল? ঘটনাস্থলে কিছুই হয়নি। এদিকে খুনের চেষ্টার ধারা দেওয়া হয়েছে সকলের বিরুদ্ধে। কেন, প্রশ্ন বিকাশের। আবার অভিযুক্তের এক আইনজীবীর বক্তব্য, চার্জশিটের শেষ পাতা অসম্পূর্ণ, তাহলে যেখানে তদন্ত সম্পূর্ণ হয়নি বলেই দেখা যাচ্ছে, সেখানে কী ভাবে তড়িঘড়ি চার্জশিট পেশ হল? এই প্রেক্ষিতেই তাঁর দাবি, চার্জশিট পেশ মানে তদন্ত শেষ। তাহলে আর রিমান্ডে নেওয়ার প্রয়োজন নেই।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”ত্রিপুরায় বাম-কংগ্রেস জোটকে ভয় পাচ্ছে বিজেপি? Is BJP afraid of Left-Congress alliance in Tripura?” width=”835″>
নিউ মার্কেট থানার মামলা নিয়ে বিকাশ রঞ্জন বলেন, একই ঘটনা, তাও এতদিন পরে হঠাৎ মনে পড়ল। এতদিন কী ঘাস কাটছিল পুলিশ? কটাক্ষের সুরে প্রশ্ন তাঁর। পুলিশের তরফ থেকে বলা হয়েছে, অন্য মামলায় পুলিশি হেফাজতে ছিল নওশাদ। তাই এতদিন নিউ মার্কেট থানা কিছু করতে পারেনি। তদন্তের পর মনে হচ্ছে জমিতে এখনও অনেক ঘাশ আছে কাটতে হবে। তাই রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।