কুলতলি: একুশের বিধানসভা নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে, রাজনৈতিক ঘটনাবলীকে কেন্দ্র করে ততই রাজ্য জুড়ে ছড়াচ্ছে উত্তাপ। দলীয় অসন্তোষ ও দলবদলের চোরাবালিতে দিশাহারা শাসকদলকে কোণঠাসা করতে উঠে পড়ে লেগেছে বিজেপি সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল। তবে বাংলায় পুণরায় ক্ষমতা দখলে মরিয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। তাই বিরোধী নেতাদের উদ্দেশ্যে একের পর এক তোপ দাগছে ঘাসফুল শিবিরও। সেই আবহে কুলতলির জনসভা থেকে ফের বিজেপিকে এক হাত নিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বারবার বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন শুভেন্দু অধিকারী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গত ১০ বছরের সময়কাল নিয়েও তুলেছেন একাধিক প্রশ্ন। এদিনের জনসভা থেকে সেই সমস্ত অভিযোগের বিরুদ্ধেই কড়া ভাষায় মুখ খুলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
গত ১০ বছরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিচালিত পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়ন যে সমস্ত বিরোধী নেতার চোখে পড়ছে না, তাঁদের চোখে ছানি পড়েছে বলে কটাক্ষ করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন দক্ষিণ ২৪ পরগণার কুলতলি এলাকা থেকে জনসভায় যোগ দেন তিনি। আর সেখান থেকেই বিরোধী নেতাদের জন্য ‘ছানিশ্রী প্রকল্প’ চালু করার কথা জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘গত ১০ বছরে কন্যাশ্রী, সবুজশ্রী, খাদ্যসাথী, শিক্ষাশ্রী, সবুজ সাথীর মতো প্রকল্প কি তাঁরা (বিরোধী নেতৃত্ব) দেখতে পাচ্ছেন না? তাঁদের চোখে ছানি পড়েছে।’’ এরপর মুখ্যমন্ত্রীকে ছানিশ্রী প্রকল্প চালু করার আবেদন জানাবেন বলে মন্তব্য করেন তিনি। বিরোধী নেতাদের প্রতি এই তীব্র কটাক্ষ ভোট পূর্ববর্তী আবহে নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ।
বস্তুত, এদিনের জনসভায় প্রথম থেকে আক্রমণাত্মক ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দু অধিকারী দলবদলের পর থেকে তাঁর বিরুদ্ধে ‘তোলাবাজি’র যে অভিযোগ এনেছেন বারবার, এদিন তার বিরুদ্ধেও সরব হন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। সারদা ও নারদা কেলেঙ্কারিতে যুক্ত থাকার প্রসঙ্গ টেনে তিনি প্রকাশ্য জনসভায় সরাসরি শুভেন্দু অধিকারীকে ‘ঘুষখোর’ বলে উল্লেখ করেন। সব মিলিয়ে একুশের ভোটের আগে রীতিমতো তপ্ত আবহই জানান দিচ্ছে এদিনের কুলতলির জনসভা।