কলকাতা: আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত রাজ্যে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে৷ এরই মধ্যে বেশ মঙ্গলবার নবান্নের বৈঠকে বেশ কিছু বিষয়ে ছাড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সেই সঙ্গে তাঁর কড়া নির্দেশ লকডাউন আইন যাতে কড়া ভাবে পালন করা হয়, তার জন্য পুলিশকে আরও বেশি দায়িত্ব নিতে হবে৷ মানুষের জীবনযাত্রার পাশাপাশি কোভিড সংক্রমণ যাতে বাড়তে না পারে, সেদিকেও নজর রাখতে হবে৷
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, লকডাউনে বহু মানুষই মর্নিং ওয়াক করতে পারছেন না৷ মর্নিং ওয়াক করতে না পারলে, অনেকেরই মন মেজাজ ভালো থাকে না৷ তাঁদের কথা ভেবেই এবার থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মর্নিং ওয়াকে ছাড় দেওয়া হবে৷ সকাল সাড়ে পাঁচটা থেকে সাড়ে আটটা পর্যন্ত মর্নিং ওয়াক করা যাবে৷ এর পর আর মর্নিং ওয়াকের অনুমতি দেওয়া হবে না৷ একসঙ্গে অনেকে মিলে গায়ে গায়ে হাঁটা যাবে না৷ মর্নিং ওয়াকের সময় মাস্ক এবং গ্লাভস অবশ্যই পরতে হবে৷ সম্ভব হলে মাথাটাও ঢেকে নিতে হবে৷
এছাড়াও বিয়ে বাড়ির লোকসংখ্যাতেও এবার থেকে মিলবে ছাড়৷ ২৫ জনের বদলে ৫০ জন জমায়েতের অনুমতি দেওয়া হবে৷ শ্রাদ্ধবাড়িতেও ৫০ জনের সমাবেশে অনুমতি দেওয়া হবে৷ তবে শেষকৃত্যে ২৫ জনের বেশি অনুমতি দেওয়া হবে না৷ মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, করোনা পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের চ্যাংড়াবান্দা সীমান্ত অনেক দিন ধরেই বন্ধ রয়েছে৷ সীমান্ত অনেক ট্রাকও আটকে আছে৷ বাংলাদেশও এই সীমান্ত খুলে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছে৷ আগামীকাল থেকেই খুলে দেওয়া হচ্ছে চ্যাংড়াবান্দা মালবাজার সীমান্ত৷ আগামীকাল থেকেই চ্যাংড়াবান্দা দিয়ে বাণিজ্য শুরু করা হবে৷
সুন্দরবনের সমস্যা জানিয়ে নীতি আয়োগের প্রধানের কাছে চিঠি পঠানো হয়েছে বলেও এদিন জানান মুখ্যমন্ত্রী৷ সুন্দরবনের জন্য মাস্টারপ্ল্যান করার আবেদন করা হয়েছে৷ তিনি বলেন, বারবার সুন্দরবনকে দুর্যোগের মুখে পড়তে হচ্ছে৷ জলের মতো রাজ্য সরকারের টাকা খরচ হলেও, কোনও কিনারা হচ্ছে না৷ আগামী দিনে যাতে সুন্দরবনের মানুষকে সমস্যায় পড়তে না হয়, সে জন্যই এই উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য৷ রাজ্য সরকারের অধীনে থাকা কোঅপারেটিভ ব্যাংকগুলিকে জন্য একটা নতুন আইন আনা হয়েছে৷ কিন্তু রাজ্য এই আইন প্রত্যাহার করার আর্জি জানিয়েছে বলেও উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী৷
মেট্রো রেল এবং বিমান পরিষেবা নিয়েও কেন্দ্রের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি৷ হটস্পট থেকে আগামী ২ সপ্তাহ কোনও বিমান আসবে না রাজ্য৷ বাকি জায়গা থেকে সপ্তাহে একদিন করে ছাড় দেওয়া যেতে পারে৷ এছাড়াও জরুরি পরিষেবার সঙ্গে জড়িতদের জন্য মেট্রো পরিষেবা চালু করার প্রস্তাব দিয়েও চিঠি পাঠানো হয়েছে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষকে৷