কলকাতা: নিমতৌড়িতে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল কলকাতা পুরসভার ৮৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কোঅর্ডিনেটর তিস্তা বিশ্বাসের৷ তাঁর গাড়িতে পিছন থেকে ধাক্কা মারে একটি ট্যাঙ্কার৷ গুরুতর আহত হয়েছেন বিজেপি নেত্রীর স্বামী ও মেয়ে৷ সদ্য এমএড পাশ করেছিলেন ৪৩ বছরের তিস্তা৷ হেড়িয়ার একটি কলেজ থেকে সপরিবারে গিয়েছিলেন সার্টিফিকেট আনতে৷ কিন্তু আর বাড়ি ফেরা হল না তিস্তার৷ এই ঘটনায় শোকের ছায়া বিজেপি’তে৷ শোক প্রকাশ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী৷ খবর পেয়েই যান চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য৷
আরও পড়ুন- এবার দুয়ারে-দুয়ারে জল পরীক্ষা করবেন আশাকর্মীরা, সিদ্ধান্ত রাজ্যের
গতকাল পূর্ব মেদিনীপুরের হেঁড়িয়া থেকে গাড়িতে চেপে কলকাতায় ফিরছিলেন বিদায়ী কাউন্সিলার তিস্তা বিশ্বাস৷ গাড়ির চালকের আসনে ছিলেন তাঁর স্বামী৷ সামনের আসনে বাবার পাশে বসেছিল ১২ বছরের মেয়ে অবন্তিকা৷ তিস্তা ছিলেন গাড়ির পিছনে৷ নিমতৌড়ি ক্রসিংয়ের আগেই ঘটে দুর্ঘটনা৷ একটি তেলের ট্যাঙ্কার পিছন থেকে ধাক্কা মারে বিজেপি নেত্রীর গাড়িতে৷ পিছন থেকে দুমড়ে মুচড়ে যায় গাড়িটি৷ তিনজনকে তমলুক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তিস্তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়৷ এদিকে বিজেপি নেত্রীর মৃত্যুর খবর পেয়েই তাঁর বাড়িতে যান পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও তৃণমূল বিধায়ক দেবাশিস কুমার৷
চন্দ্রিমা বলেন, ‘কী ভাবে এমন একটা ঘটনা ঘটে গেল কল্পনাই করতে পারছি না৷ খবর পেয়েই প্রশাসন ও হাসপাতালের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি৷ পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসকের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে৷’ দেবাশিস কুমার বলেন, ও আমাদের পাড়ার মেয়ে৷ আমার বোনের বয়সী বা তার চেয়েও হয়তো ছোট হবে৷ এই ঘটনা মেনে নিতেই কষ্ট হচ্ছে৷ প্রশাসনিক স্তরে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, আমরা আমাদের সাধ্য মতো চেষ্টা করছি৷ এদিকে, বিজেপি নেত্রীর স্বামী ও মেয়েকে রাতেই কলকাতায় নিয়ে আসা হয়৷ দাপুটে বিজেপি নেত্রী তিস্তার স্বামী গৌরব তমলুক হাসপাতালে বসে পুলিশকে বলেন, “একটি অয়েল ট্যাঙ্কার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পিছন দিক দিয়ে প্রবল গতিতে আমাদের গাড়িতে ধাক্কা মারে। আমাদের গাড়িটি দুমড়ে—মুচড়ে যায়৷ আমরা গাড়িতে আটকে পড়ি৷ পিছনের সিটে ছিল তিস্তা।”