কলকাতা: ওমিক্রন নিয়ে আলাদা চিন্তার মাঝেও সার্বিকভাবে বাংলার করোনা পরিস্থিতি ঠিক নেই। লাফিয়ে সংক্রমণ বৃদ্ধি হচ্ছে কলকাতায়। বিগত কয়েক মাস ধরেই রাজ্যের সংক্রমণের শীর্ষে রয়েছে তিলোত্তমা। পাশাপাশি বাড়ছে বঙ্গে কোভিড গ্রাফ। সেই প্রেক্ষিতে চিন্তা বাড়ছে কেন্দ্রেরও। তাই করোনা নিয়ে নবান্নকে চিঠি পাঠাল কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিবকে চিঠি পাঠায়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ।
সম্প্রতি দেশের সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে করোনা ইস্যু নিয়ে চিঠি পাঠিয়েছিল। কিন্তু এখন পশ্চিমবঙ্গ তথা শহর কলকাতাকে নিয়ে কেন্দ্র আলাদাভাবে চিন্তিত। কারণ বিগত কয়েক দিনে শহরে হঠাৎ বেড়ে গিয়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। এই প্রেক্ষিতে পরিস্থিতি মোকাবিলায় কী কী পদক্ষেপ করা দরকার, সেই পরামর্শ দিয়েই নবান্নকে চিঠি দেওয়া হয়েছে মোদী সরকারের তরফে। করোনা পরীক্ষা বাড়ানো থেকে শুরু করে টিকাকরণ বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও কন্টেনমেন্ট জোনের ভাবনা নেওয়ার কথাও বলেছে কেন্দ্র। এদিকে, নবান্ন ইতিমধ্যেই একাধিক পদক্ষেপের কথা ভেবেছে, কিন্তু নাইট কার্ফু করা হবে কিনা, তা নিয়ে দোটানায় রয়েছে। তবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে ইতিমধ্যেই শহরের একাধিক ক্লাব বর্ষবরণের উৎসব বাতিল ঘোষণা করেছে।
গতকালই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, আন্তর্জাতিক বিমানে আসা যাত্রীদের থেকে ওমিক্রন সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। এ ক্ষেত্রে কোভিড বিধিতে কোনও বদল আনা যায় কি না, তা খতিয়ে দেখতে হবে৷ বিমানবন্দরে যাঁদের করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে, তাঁরা সংক্রমণ নিয়েই বাড়ি চলে যাচ্ছে কি না, সে দিকেও নজর রাখতে হবে৷ তিনি বলেন, কলকাতায় যদি কিছু ওয়ার্ড কনটেনমেন্ট জোন করতে হয়, তাহলে ৩ জানুয়ারি থেকে তা করা হবে৷ পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে লোকাল ট্রেনের সংখ্যা কিছুটা কমানো যেতে পারে। পাশাপাশি, প্রয়োজনে অফিসগুলোতে ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ করতে হবে৷ ওয়ার্ক ফ্রম হোমও করা হতে পারে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী৷