কাঁথি: কাঁথির সরকারি হাসপাতালে বাংলাদেশি ওষুধ দেওয়া নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। এবার জানা গিয়েছে নন্দীগ্রামের সরকারি হাসপাতালেও এই ‘নিষিদ্ধ’ ওষুধ দেওয়া হচ্ছিল। যা নিয়ে রীতিমতো আতঙ্কিত রোগী এবং তাদের আত্মীয়রা। কিন্তু এই ওষুধ কারা পাঠিয়েছে? রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তার বক্তব্য, কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণে থাকা সংস্থা থেকেই এই ওষুধ এসেছে।
আরও পড়ুন- বিধানসভায় হারের পর প্রথমবার রাজ্যে অমিত শাহ, আগমণ চলতি মাসেই
বেশ কয়েক দিন ধরেই কাঁথি মহকুমা হাসপাতালের আউটডোর থেকে রোগীদের বাংলাদেশে তৈরি সেফ্রাডিন, ডক্সিসাইক্লিনের মতো একাধিক ওষুধ দেওয়া হচ্ছিল। মঙ্গলবার এক রোগীকে ডক্সিসাইক্লিন ক্যাপসুল দেওয়ার পরেই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে৷ দেখা যায় মোড়কে কোথাও ওষুধ তৈরি ও মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ উল্লেখ নেই৷ বরং প্যাকেটের গায়ে লেখা রয়েছে ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সম্পদ, ক্রয় বিক্রয় আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ’। এই ঘটনায় শোরগোল পড়তেই কাঁথি মহকুমা হাসপাতাল থেকে বাংলাদেশের ওষুধ দেওয়া বন্ধ করা হয়৷ আবার নন্দীগ্রামের সরকারি হাসপাতালেও একই ঘটনা ঘটেছে। এই ওষুধ কোথা থেকে এল তা জানতে সেন্ট্রাল স্টোরের কাছ থেকে এ বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে রিপোর্ট তলব করা হয়েছিল। বিকেলে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণে থাকা একটি ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা থেকেই এই ওষুধ এসেছে।
জানান হয়েছে, ২০২১ সালের জুন মাসে রাজ্যে আসে এই ওষুধ। তারপর থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় এই ওষুধ বন্টন করা হয়। সেই কারণেই নন্দীগ্রামের সরকারি হাসপাতালেও এই ‘নিষিদ্ধ’ ওষুধ মিলেছে। দুই মেদিনীপুর ছাড়াও দুই দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়াতেও এই ওষুধ সরবরাহ হয়েছে বলে জানা যায়। সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোর থেকে ওষুধ আসে জেলায় জেলায়। রাজ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তার এও দাবি, বাংলাদেশ বিদেশ মন্ত্রক থেকে এই ওষুধ ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারকে দেওয়া হয়। তারাই সেই ওষুধ বাংলায় দিয়েছে।