কমিশনের পরিকল্পনার অভাব! বাহিনী নিয়োগ করা যাচ্ছে না, আদালতে জানাল কেন্দ্র

কমিশনের পরিকল্পনার অভাব! বাহিনী নিয়োগ করা যাচ্ছে না, আদালতে জানাল কেন্দ্র

কলকাতা: আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন স্বচ্ছ এবং সুষ্ঠুভাবে করার জন্য রাজ্য নির্বাচন কমিশন কী পদক্ষেপ নিচ্ছে সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট চেয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন সব মিলিয়ে ১৫ পাতার রিপোর্ট জমা দিয়েছে কমিশন। কিন্তু আদালত তাতে সম্পূর্ণ সন্তুষ্ট হতে পারেনি। তবে হাইকোর্ট আরও বেশি ক্ষুব্ধ হয়েছে কেন্দ্রের তরফে কমিশন সম্পর্কে একটি বড় নালিশ শোনার পর। কেন্দ্র দাবি করেছে, নির্বাচন কমিশনের পরিকল্পনার অভাবে এখনও কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়োগ করা যাচ্ছে না। এই প্রেক্ষিতেই আদালত কমিশনকে কার্যত ‘ধমক’ দিয়েই বলে, সময় নষ্ট করবেন না। 

বুধবার কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা নিয়ে আদালত অবমাননা মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলার শুনানিতেই কেন্দ্রের তরফে দাবি করা হয়, ভোটে নিরাপত্তা দিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে এলে তারা কোথায় থাকবে, কোথায় খাবে, সেই সংক্রান্ত কোনও তথ্য নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট করছে না। এমনকি, কোন বুথে কত বাহিনী রাখা হবে, সেটাও এখনও পর্যন্ত পরিষ্কার নয়। রাজ্য সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের তরফে কোনও রকম সাহায্য মিলছে না বলেও এদিন দাবি করা হয়েছে। এতেই ক্ষোভ প্রকাশ করে আদালত জানায়, কেন্দ্রীয় বাহিনী সংক্রান্ত যে কোনও বিষয়ে সিদ্ধান্ত কমিশনকেই নিতে হবে। সব বিষয়ে আদালতের নজর দেওয়া সম্ভব নয়। তবে যা করার দ্রুত করতে হবে। সময় নষ্ট করলে চলবে না বলেই স্পষ্ট জানিয়েছে হাইকোর্ট। 

যদিও কেন্দ্রের দাবি পুরোপুরি মানতে চায়নি নির্বাচন কমিশন। তারা আদালতে জানিয়েছে, বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনকে সব নির্দেশ দেওয়া আছে। তবে আদালত এই বিষয়ে রিপোর্ট না দেখে সন্তুষ্ট হতে পারছে না বলেই জানিয়েছে। অন্যদিকে, রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে আদালতের নির্দেশ, কমিশনকে ২০০ শতাংশ সাহায্য করতে হবে। না হলে সমস্যা বাড়বে। এছাড়া সব মিলিয়ে কী কী কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে তা নিয়ে আগামী সোমবার ফের কমিশনকে রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।   

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nineteen − 17 =