কলকাতা: রাজ্যের সরকার বারংবার এই অভিযোগ করে এসেছে যে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যকে তার প্রাপ্য টাকা এখনও দেয়নি। বিভিন্ন প্রকল্পের খাতে কেন্দ্রের থেকে পাওনা অর্থ এখনও রাজ্য পায় বলেই একাধিকবার সরব হয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়া দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে আঘাত করার অভিযোগ তুলে তো কেন্দ্রকে আলাদাভাবেই বিদ্ধ করে বাংলা। কিন্তু এবার যা হতে চলেছে তাতে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত যে আরও বাড়বে তা অনুমান করা যায়। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী, মেধাশ্রী সহ রাজ্য সরকারের নানা প্রকল্পে এবার নজরদারি করবে কেন্দ্র।
আরও পড়ুন- কুন্তল সহ তিনজনের জামিন খারিজ আবার, ১৪ দিনের হেফাজত
রাজ্যের যে ক’টি প্রকল্প আছে তাতে এক টাকাও দেয় না কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্যই প্রকল্পগুলির সম্পূর্ণ খরচ বহন করে। কিন্তু এবার শোনা যাচ্ছে, সেই সব প্রকল্প নিয়েও রাজ্যকে কেন্দ্রের কাছে তথ্য জমা দিতে হবে। এসব প্রকল্প খাতে রাজ্য কত টাকা খরচ করছে, তার হিসেব কেন্দ্রের নির্দিষ্ট পোর্টালে তুলে ধরতে হবে বলেই আপাতত জানা যাচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই এই খবর সামনে আসার পর মনে করা হচ্ছে যে কেন্দ্রের সঙ্গে আবার নতুন করে সংঘাতে জড়াবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, কেন্দ্রের কোনও আর্থিক অংশিদারিত্ব নেই এমন প্রকল্পে নজরদারি করা আদতে রাজ্যের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”SSC Scam: নাম জড়াল প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলরের! Former TMC councillor name in OMR sheet manipulation” width=”853″>
কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, ‘ডিবিটি ভারত’ নামক একটি পোর্টালে এইসব প্রকল্পের যাবতীয় তথ্য তুলে ধরতে হবে রাজ্য সরকারকে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী, মেধাশ্রীর মতো প্রকল্প এক কথায় যেসব প্রকল্পে উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পাঠানো হয়, তার হিসেব চাইছে কেন্দ্র। তাঁদের যুক্তি, এই প্রকল্পগুলির জন্য রাজ্যের ওপর ঋণের বোঝা কতটা বাড়ছে বা বাড়তে পারে, তার একটা আন্দাজ তারা পাবে এইভাবে।