নয়াদিল্লি: গতকাল ডিএম-এসপিদের সঙ্গে বৈঠক করে পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন। স্পষ্ট জানানো হয়েছিল, রাজ্যের সব বুথে কড়া নজরদারি চালানো হবে। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে অনেক আগে থেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিজেপি। এবার অবশেষে কেন্দ্রের সঙ্গে সেই পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় রাজি হল রাজ্য সরকার। এদিন বিকেলে ভার্চুয়াল বৈঠকে বসবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্র।
প্রথমে কথা ছিল, বৈঠকের জন্য এদিন বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ নর্থ ব্লকে যেতে হবে মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্রকে। কিন্তু দিল্লি যেতে রাজি হয়নি নবান্ন। তারা স্পষ্ট জানিয়েছিল, ভার্চুয়াল বৈঠক হলেই তারা বৈঠক করতে রাজি হবে। সেই অনুরোধে সমর্থন জানায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সেই অনুযায়ী আজ বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ এই ভার্চুয়াল বৈঠক সম্পন্ন হবে। তবে জানা যাচ্ছে অন্য কোনো কারণ নেই, মূলত করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই দিল্লিতে সশরীরে উপস্থিত হতে রাজি হননি রাজ্যের কেউ। সেই কারণেই ভার্চুয়াল বৈঠক করতে রাজি হয়েছে কেন্দ্র এবং রাজ্য। ইতিমধ্যেই ডায়মন্ড হারবারে বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কনভয় হামলার পর থেকে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে চূড়ান্তভাবে। পরবর্তী ক্ষেত্রে নবান্নের আপত্তি সত্ত্বেও তিনজন আইপিএস অফিসারকে পোস্টিং দেয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই শোরগোল।
অন্যদিকে গতকাল, ডিএম-এসপিদের সঙ্গে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেছেন ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার। আগামী বিধানসভা ভোটে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যে গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে সেই ব্যাপারেই বার্তা দেওয়া হয়েছে এই দিনের বৈঠকে। একই সঙ্গে জানানো হয়েছে, রাজ্যের ১০০ শতাংশ ভোট স্পর্শ কাতর, ভাবা হচ্ছে এমন টাই। এদিকে সব বুথে কড়া নজরদারি রাখার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আরো জানা গিয়েছে, আগামী জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে নির্বাচন কমিশনের ফুলবেঞ্চ আসতে পারে পশ্চিমবঙ্গে। তার আগে যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়ে রাখার বার্তা দেওয়া হয়েছে ডেপুটি নির্বাচন কমিশনারের পক্ষ থেকে।