ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি পর্যালোচনায় বাংলায় ৭ সদস্যের কেন্দ্রীয় দল

ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি পর্যালোচনায় বাংলায় ৭ সদস্যের কেন্দ্রীয় দল

706f2e2635737ba9a83fc5b41c2caf84

কলকাতা: সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সরেজমিনে সমীক্ষা করতে রাজ্যে এসেছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টা নাগাদ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব অনুজ শর্মার নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি কলকাতা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। ওই প্রতিনিধি দলে রয়েছেন কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রকের অধিকর্তা নরেন্দ্র কুমার, বিদ্যুৎ মন্ত্রকের অধিকর্তা রিশিকা সারান, মৎস্য বিভাগের সহকারী কমিশনার আর পি দিবে, ব্যয় বিভাগের অধিকর্তা এসসি মিনা, জলশক্তি মন্ত্রকের সুপারিনটেনডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার সিদ্ধার্থ মিত্র এবং সড়ক পরিবহন মন্ত্রকের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সমীরন সাহা। আগামীকাল তাঁরা দুই ২৪ পরগণা সফর করবেন। শনিবার রাতে তাদের দিল্লি ফিরে যাওয়ার কথা রয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় আম্ফান রাজ্যে আছড়ে পড়ার পর পরেই নিজে চোখে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ছুটে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাজ্য সরকারকে সব রকম সাহায্যের আশ্বাসও দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা মত ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত পাজ্যের পূনর্গঠনে এক হাজার কোটি টাকা সাহায্যও সঙ্গে সঙ্গে মিটিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র।এবার প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস মত রাজ্যের ক্ষয়ক্ষতি পর্যালোচনা করতে রাজ্যে আসছে বিশেষ কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল।

প্রশাসনিক সূত্রের খবর সেই প্রতিনিধি দলের রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে রাজ্যের জন্য পরবর্তী দফার আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করবে কেন্দ্র।এর আগে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনায় আসা আন্তঃমন্ত্রক দলকে বিভিন্ন ভাবে অসহযোগিতা করার অভিযোগ উঠেছে রাজ্যের বিরুদ্ধে। কিন্তু এবার কেন্দ্রীয় দলকে সবরকমের সহায়তার বার্তা দেওয়া হয়েছে রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষস্তর থেকে। প্রাপ্তিযোগের সম্ভাবনার কারণেই সরকার পক্ষের অবস্থান বদল বলে বিরোধীদের কটাক্ষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

লকডাউন: খোদ পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষুব্ধ কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দল!

লকডাউন: খোদ পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষুব্ধ কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দল!

b73fc0230b33f63429e4ef92089bb6f2

কলকাতা:  সোমবারের পর মঙ্গলবারেও সমান সক্রিয়তার সঙ্গে পথে নেম উত্তর থেকে দক্ষিণ বঙ্গের করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলেন কেন্দ্রীয়  পর্যবেক্ষক দলের সদস্যরা। রাজ্যের লকডাউন পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে আসা কেন্দ্রীয় আন্তঃমন্ত্রক পর্যবেক্ষক দলের সদস্যরা এদিন ফের শহরের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন৷ সকালে বালিগঞ্জের বিএসএফ ক্যাম্প থেকে প্রথমে তাঁরা বেলেঘাটা এলাকা পরিদর্শন করেন।

বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের আশপাশের এলাকার ছবি তোলেন। এরপর সল্টলেকের আমরি হাসপাতালে হয়ে তাঁরা এয়ারপোর্ট এলাকায় যান।বারাসতের কদম্বগাছি এলাকায় বেসরকারি কোভিড হাসপাতালও ছিল তাদের সফর সূচিতে।অন্যদিকে বৃষ্টি উপেক্ষা করে শিলিগুড়িতে অপর দলটিও সকালেই বের হয় পরিদর্শনে৷ এদিন সকালে ষষ্ঠবার শিলিগুড়ির করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে বেরলেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।লক ডাউন ভেঙে সাধারণ মানুষ যেভাবে বিিন্ন এলাকায় অবাধে পথে নামছেন এবং পুলিশের একাংশের মধ্যে অসচেতনতা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা।

এদিন সকালে বালিগঞ্জের বিএসএফ ক্যাম্প থেকে বের হন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা৷ তাদের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন  বিএসএফ জওয়ানরা৷ কেন্দ্রীয় এই দলটি এদিন বেলেঘাটা, সল্টলেক আমরি হাসপাতাল,এয়ারপোর্ট পরিদর্শন করেন৷ এরপর তারা উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটসহ অন্যান্য জায়গা পরিদর্শন করতে পারেন৷ পাঁচ সদস্যদের ২ জন এদিন শিলিগুড়ির বিভিন্ন এলাকার অবস্থা খতিয়ে দেখেছেন৷ দলের প্রধান বিনীত জোশী-সহ বাকি ৩ জন যান দার্জিলিংয়ে।

জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের দুই সদস্য ব্রিগেডিয়ার অজয় গাঙ্গোয়ার ও অধ্যাপিকা শিবানি দত্ত যান কাওয়াখালির কোভিড হাসপাতালে। সেখানকার ব্যবস্থাপনা খতিয়ে দেখেন। কথা বলেন রোগী ও দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের সঙ্গে। সেখান থেকে পাতি কলোনির উদ্দেশ্যে রওনা হন তাঁরা। করোনা সংক্রমণে মৃত পাতি কলোনির বাসিন্দা রেলকর্মীর বাড়িতে যান কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের এই দুই সদস্য।তারপর তাঁরা শিলিগুড়ি পুরনিগমের ৪১ নম্বর ওয়ার্ড অর্থাৎ জ্যোতি নগর এলাকায় যান। সূত্রের খবর, ওই এলাকায় গিয়ে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দল যথেষ্ট ক্ষোভ প্রকাশ করেন। কারণ ওই এলাকায় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীরা কোনরকম মাস্ক বা স্যানিটাইজার ব্যবহার করছিলেন না বলে জানিয়েছেন তাঁরা। এবং এই ঘটনাই কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকদের ক্ষুব্ধ করেছে বলে জানা গেছে। তাঁরা নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে নির্দেশ দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *