রাজ্যপাল হতে পারেন শিশির অধিকারী! পরিকল্পনা চলছে কেন্দ্রের অন্দরে

রাজ্যপাল হতে পারেন শিশির অধিকারী! পরিকল্পনা চলছে কেন্দ্রের অন্দরে

 

কলকাতা: ৮০ বছর বয়স পেরিয়ে গিয়েছে তাঁর। এই বয়সে এসে নতুন করে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ শিশির অধিকারী। ছেলে শুভেন্দু অধিকারীর মতই বিজেপি শিবিরে যোগদান করেছেন তিনি। এককথায় তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের সঙ্গে সমস্ত রকম সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন শিশির। এবার তাঁকে নিয়ে নতুন ভাবনা কেন্দ্রীয় সরকারের। সূত্রের খবর, শিশির অধিকারীকে রাজ্যপাল করার ভাবনায় রয়েছে বিজেপি, সেই প্রেক্ষিতে চলছে রাজ্য বাছাইয়ের কাজ! মনে করা হচ্ছে, ‘সম্মান’ জানাতেই এই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে ভারতীয় জনতা পার্টির কেন্দ্রীয় সরকার।

সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে নয়, পশ্চিমবঙ্গ লাগোয়া পূর্বাঞ্চলের দুটি রাজ্য নজরে রয়েছে গেরুয়া শিবিরের। ভাবনা চিন্তা করা হচ্ছে যে সেখানেই শিশির অধিকারীকে রাজ্যপাল নিয়োগ করা হবে। যদিও এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো রকম ঘোষণা বা ইঙ্গিত দেওয়া হয়নি। তবে এইটুকু জানা গিয়েছে, রাজ্যপাল হওয়ার প্রস্তাব এলে তা ফিরিয়ে দেবেন না শুভেন্দুর পিতা। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শিশির অধিকারীর মত একজন অভিজ্ঞ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে এই বয়সে কোনরকম বিড়ম্বনায় ফেলতে চাইছে না দল। সেই কারণে কোনো এক রাজ্যের রাজ্যপাল করে তাঁর অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চাইছে বিজেপি শিবির। সেই মতই পরিকল্পনা চলছে শিশির অধিকারীকে নিয়ে। তবে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিজেপি যে এক ঢিলে দুই পাখি মারার চেষ্টা করছে তা অবশ্য ভাবে ধারণা করা যায়। এর সব চেয়ে বড় কারণ, কাঁথি আসনটি নিজেদের দখলে আনা।

আরও পড়ুন – রাফাল ‘দুর্নীতি’? বিজেপিকে ফাঁপড়ে ফেলতে মরিয়া তৃণমূল!

শিশির অধিকারী যদি কোনও রাজ্যের রাজ্যপাল হন তাহলে তাঁকে সাংসদ পদ ত্যাগ করতে হবে। সেটা হলে কাঁথি আসনে হবে উপনির্বাচন। পরবর্তী ক্ষেত্রে সেখানে বিজেপিকে জিততে হবে। তাই শিশির অধিকারীকে কোনও এক রাজ্যের রাজ্যপাল করে বিজেপি এই বার্তা দিতে চাইছে যে তাঁকে যোগ্য সম্মান দিয়েছে দল। সেই প্রেক্ষিতে উপনির্বাচন হলে কাঁথি আসনটি পেতে বিজেপির সুবিধা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে ওই আসনে কে নির্বাচন করবেন সেটাও এখন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ বিধানসভা নির্বাচনের ফল যা হবে তার প্রেক্ষিতে বিজেপিকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *