স্কুলে ‘তিথি ভোজন’ এ ধর্মের আস্ফালন! পুষ্টিকর আহারে কোপ নয়ত?

কলকাতা: নাম বদলে এখন ‘মিড ডে মিল’ প্রকল্প হয়েছে ‘প্রধানমন্ত্রী পোষণ যোজনা’৷ কেন্দ্রের মতে, গুজরাটে ‘তিথি ভোজন’ নামে একটি প্রকল্প শুরু করেছিল ওই রাজ্যের সরকার।…

WhatsApp Image 2024 07 29 at 7.47.55 PM

কলকাতা: নাম বদলে এখন ‘মিড ডে মিল’ প্রকল্প হয়েছে ‘প্রধানমন্ত্রী পোষণ যোজনা’৷ কেন্দ্রের মতে, গুজরাটে ‘তিথি ভোজন’ নামে একটি প্রকল্প শুরু করেছিল ওই রাজ্যের সরকার। যেখানে স্কুলগুলিতে বিশেষ বিশেষ দিনে নাগরিকরা মিড ডে মিল ‘স্পনসর’ করেন। এতে মাসের ক’টা দিন ভালো-মন্দ খাবার, মিষ্টি, নিমকি, ফল মেলে মিড ডে মিলে। তবে এবার এই তিথি ভোজন নিয়ে বিতর্ক বাড়ছে৷ বাংলার একাধিক শিক্ষাবিদের মত ছিল, ‘এই তিথি ভোজন কথাটার মধ্যেই একটা বিশেষ ধর্মের অনুপ্রবেশের সম্ভাবনা খুলে যাচ্ছে। আমিষ-নিরামিষের দ্বন্দ্বের সম্ভাবনাও থাকছে। যা কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কাম্য নয়!’ আর সেখান থেকেই প্রশ্ন উঠেছ এবার কি স্কুলে তিথি নেমে পড়ুযাদের পাতে দেওযা হবে খাবার? মানে স্কুলেও ধর্মের আস্ফালন? এই তিথিতে এটা খাওয়া যায় না, ওই তিথিতে ওটা খাওয়া যায় না, এই ধরণের কুসংস্কার শিখবে পড়ুয়ারা?

কেন্দ্রের মতে এই তিথি ভোজনের নিয়ম অনুযায়ী মাসে অন্তত এক বা দু’দিন তিথি ভোজনের ব্যবস্থা হোক। সেখানে একটি ক্লাসের কিছু বাচ্চাকে বা পুরো স্কুলকে খাওয়ানো যেতে পারে। যিনি খাওয়াবেন, তাঁকে বা তাঁদের ডেকে স্কুলে সম্মানিত করতে হবে। এ জন্য মানুষের কাছে যেতে হবে স্কুল কর্তৃপক্ষকেই। যদিও এ নিয়ে শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারীর বক্তব্য, ‘পি এম পোষণ প্রকল্পে ১০০ দিনের জন্য তিথি ভোজনে পুষ্টিকর মেনু দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কেউ উৎসাহিত হয়ে দান করলে নিশ্চয়ই তা স্বাগত। কিন্তু নির্দিষ্ট পরিমাণ ক্যালরিযুক্ত আহার যাতে ছাত্রছাত্রীরা নিশ্চিতভাবে পায় তার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে আর্থিক বরাদ্দ বাড়াতে হবে। অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিয়ে নিজেদের দায় এড়িয়ে যাওয়া হবে কেন? নিশ্চিতভাবে নির্দিষ্ট পরিমাণ ক্যালরিযুক্ত পুষ্টিকর আহার দেওয়া ব্যবস্থা করতে হবে সরকারকে।’