কলকাতা: সম্প্রতি শেষ হয়েছে রাজ্যের তিন কেন্দ্রের নির্বাচন। অনেক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীতে উপস্থিত ছিল এই তিন জায়গার নির্বাচন সংঘটিত করার জন্য। সামনেই পুজোর এবং তারপরেই আরো ৪ কেন্দ্রে নির্বাচন সংঘটিত হবে। সেই উপনির্বাচন নিয়ে এখন থেকেই তৎপর নির্বাচন কমিশন। জানা যাচ্ছে, আগামী সপ্তাহে অর্থাৎ পুজোর মধ্যেই রাজ্যে আসতে চলেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। ৪ কেন্দ্রের উপনির্বাচনের জন্য ২৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসার কথা রয়েছে।
আগামী ৩০ অক্টোবর রয়েছে খড়দহ, গোসাবা, দিনহাটা এবং শান্তিপুরের উপনির্বাচন। এই ৪ কেন্দ্রের একাধিক স্পর্শকাতর এলাকা পুরোপুরিভাবে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দখলে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, পরবর্তী ক্ষেত্রে পরিস্থিতি বুঝে আরো কেন্দ্রীয় বাহিনী বাড়ানো হতে পারে। তবে আপাতত ২৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসতে চলেছে রাজ্যে। আগামী বুধবার অর্থাৎ অষ্টমীর দিন কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে পৌঁছানোর কথা পশ্চিমবঙ্গে। এই কেন্দ্রীয় বাহিনীর মধ্যে রয়েছে ৮ কোম্পানি সিআরপিএফ, ৯ কোম্পানি বিএসএফ, ৫ কোম্পানি করে সিআইএসএফ এবং এসএসবি। গত ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুরে উপনির্বাচন এবং মুর্শিদাবাদের ২টি কেন্দ্রে ভোটের জন্য মোট ৩৫ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল।
ইতিমধ্যেই তৃণমূল এবং বিজেপি দুই দলই তাঁদের তারকা প্রচারকদের নাম ঘোষণা করে দিয়েছে। তৃণমূলের তালিকায় রয়েছেন, দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি, মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে সাংসদ মিমি, দেবের মত ‘স্টার’। আবার আছেন, মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অরূপ বিশ্বাসও। বিধায়কদের মধ্যে রয়েছে, অদিতি মুন্সি, জুন মালিয়া সহ আরও অনেকে। ওদিকে, বিজেপি যে তালিকা ঘোষণা করেছে সেই তালিকায় রয়েছেন আগের মতোই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। এছাড়াও থাকছেন, অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং। আবার রাজ্যের বর্তমান সভাপতি সুকান্ত মজুমদার থেকে শুরু করে রয়েছেন, দেবশ্রী চৌধুরী, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পাল, লকেট চট্টোপাধ্যায়, অর্জুন সিংহ। আবার বাংলার চার প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক, সুভাষ সরকার, জন বার্লা এবং শান্তনু ঠাকুর।