কলকাতা: রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোটের আবহে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ইস্যু নিয়ে উত্তেজনা প্রথম থেকেই ছিল। প্রথমে নির্বাচন কমিশনের তরফে মাত্র ২২ কোম্পানি বাহিনী চাওয়া, তারপর কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়া; পরে আবার হাইকোর্টের দাবি মেনে কেন্দ্রের কাছে ৮০০ কোম্পানি বাহিনীর আর্জি জানান, সবই চলেছে। ইতিমধ্যে ৩১৫ কোম্পানি বাহিনী পাঠানোর বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে অমিত শাহের মন্ত্রক। তার আগেও কিছু কোম্পানি বাহিনী রাজ্যে এসে গিয়েছে, তারাই টহলদারি শুরু করেছে।
আগামী ৮ জুলাই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট। আর শুক্রবার থেকেই একাধিক জেলায় টহলদারি শুরু করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দাবি মেনে একবারে ৮০০ কোম্পানি বাহিনী না পাঠালেও ধাপে ধাপে বাহিনী পাঠাবে কেন্দ্র। সেই প্রেক্ষিতে যারা ইতিমধ্যেই এসেছেন রাজ্যে তারাই টহলদারি শুরু করে দিয়েছেন। প্রথম দফায় চাওয়া ২২ কোম্পানি বাহিনী কোন কোন জেলায় মোতায়েন হবে তা জানা গিয়েছে। মূলত উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলা যেমন আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, মালদহে বাহিনী মার্চ করছে। এছাড়া মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনা, পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, এইসব জেলাতেও তারা টহল শুরু করেছে।
এদিকে আবার বিজেপি নতুন দাবি করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে। তাদের বক্তব্য, গণনার পরেও রাজ্যে রাখতে হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী! পঞ্চায়েত ভোট মিটলেই কেন্দ্রীয় বাহিনী ফেরত পাঠানো যাবে না। বরং গণনার পর আরও ১৫ দিন কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে রাখতে হবে। কিন্তু এমন দাবি কেন? আসলে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’র ঘটনার প্রসঙ্গ তুলেই এই দাবি।