নবগ্রাম: বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের সপ্তম দফাতেও হিংসার ঘটনা আটকানো গেল না। এদিন সকাল থেকে রাজ্যের একাধিক জায়গা থেকে টুকরো টুকরো অশান্তির খবর উঠে আসে। কোথাও রাজনৈতিক দলগুলি একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে, কোথাও অভিযোগ উঠেছে সেন্ট্রাল ফোর্সের বিরুদ্ধে। মুর্শিদাবাদের তৃণমূল কংগ্রেসের দুই নেতার বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। নবগ্রামে খোদ তৃণমূল কংগ্রেস সম্পাদককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল তাদের বিরুদ্ধে।
তৃণমূল নেতা দাবি করেছেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রথমে এসে তাকে জিজ্ঞাসা করে তিনি কোন দল করেন। তৃণমূল কংগ্রেস করেন উত্তর পেতে বেধড়ক মারধর শুরু করে তারা! পাণ্ডবেশ্বরের একটি বুথে মার খেয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী কৃষ্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায়। তাৎপর্য ভাবে তিনিও কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে একই অভিযোগ এনেছেন। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি জানাচ্ছেন, বুথ থেকে অনেকটাই দূরে তিনি একটি গাছের তলায় বসে ছিলেন। সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কয়েকজন জওয়ান সে তাকে জিজ্ঞাসা করেন তিনি কোন দল করেন। উত্তর দিয়ে তিনি বলেন তৃণমূল কংগ্রেস। তার দাবি, এই উত্তর শুনে ওই কেন্দ্রীয় বাহিনীর সকলে তাকে বেধড়ক মারতে শুরু করে। একজন জওয়ান কানে বন্দুক পর্যন্ত ধরেছেন বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
অন্যদিকে আক্রান্ত তৃণমূল কর্মী কৃষ্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, এক বুথে তৃণমূলের পোলিং এজেন্টকে ঢুকতে দিচ্ছিলো না কেন্দ্রীয় বাহিনী। সেই প্রেক্ষিতে অভিযোগ জানাতে গিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী তাকে মারধর করেছে বলে জানান তিনি। সেখানেও বাহিনী প্রথমে তাকে মারার আগে জিজ্ঞাসা করেছিল তিনি কোন দল করেন, এমনই দাবি তার।