কন্টেনমেন্ট জোনগুলিতে দুর্গাপুজো নয়! নতুন নির্দেশিকা জারি কেন্দ্রের

কলকাতা: আর মাত্র কয়েকটা দিন। তারপরই দুর্গাপুজো। আর দুর্গা পুজো মানেই মানুষের ভিড়। এই করোনা পরিস্থিতিতে ভিড় মানেই উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে সংক্রমণ। তা যাতে না হয়, যাতে আয়ত্তে থাকে সংক্রমণ, তাই নতুন নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।

 

কলকাতা: আর মাত্র কয়েকটা দিন। তারপরই দুর্গাপুজো। আর দুর্গা পুজো মানেই মানুষের ভিড়। এই করোনা পরিস্থিতিতে ভিড় মানেই উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে সংক্রমণ। তা যাতে না হয়, যাতে আয়ত্তে থাকে সংক্রমণ, তাই নতুন নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।

নতুন এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে রাজ্যের কনটেনমেন্ট জোনগুলোতে কোনওভাবেই দুর্গা পুজো করা যাবে না। তবে একেবারেই পুজো বন্ধ করার কথা বলা হয়নি। বলা হয়েছে যে প্রকাশ্যে পুজো বা উৎসব বন্ধ রাখতে হবে এ বছর। তবে তার শুধুমাত্র কনটেনমেন্ট জোনেই। এখানকার বাসিন্দাদের বাড়িতে উৎসব পালন করতে হবে। এমনকী যাঁদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম- যেমন বৃদ্ধ, শিশু ও অসুস্থদের বাড়িতেই থাকার কথা বলা হয়েছে। পুজোর সময় অতি অবশ্যই মেনে চলতে হবে সামাজিক দূরত্ব ও করোনা প্রতিরোধের সমস্ত নিয়ম কানুন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা যাবে না। এছাড়া এলাকাগুলিতে স্যানিটাইজেশন করতে হবে। মণ্ডপগুলিতে রাখতে হবে থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা। ফ্লোর মার্কিংয়ের কথাও নির্দেশিকায় বলা হয়েছে। বিসর্জনে মাস্ক অবশ্যম্ভবী।

আরও পড়ুন; সরকারি জায়গা অনির্দিষ্টকাল দখলে রাখা যায় না, শাহিনবাগ মামলায় জানাল সুপ্রিম কোর্ট

পুজোর নিয়ম নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্যের তরফেও কয়েকটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। উদ্যোক্তাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খোলা মণ্ডপ তৈরি করার কথা বলেন। মায়ের চালা ঢেকে রেখে চারপাশ খালি রাখার কথাও বলেন। প্রয়োজনে ছাদ ঢেকে আপপাশটা খেলা রাখা যেতে পারে বা আশপাশটা ঢেকে ছাদ খেলা রাখা যেতে পারে। প্যান্ডেলে যেন শারীরিক দূরত্ব বজায় থাকে, সে কথাও বলেন তিনি। ভিড় এড়াতে আলাদা এন্ট্রি ও এগজিট করার কথা বলেন। সম্ভব হলে ভলেন্টিয়ারদের চক দিয়ে গোল করে যেন দর্শনার্থীদের জন্য দাগ কেটে দেন। প্যান্ডেলে হ্যান্ডন্ড স্যানিটাইজার ও মাস্ক মজুত রাখতে হবে। প্যান্ডেল থেকে ১ কিলোমিটারের বা অন্তত ৫০০ মিটারের মধ্যে গেলে মাস্ক ও স্যানিটাইজার বাধ্যতামূলক। পুলিশ ও ক্লাবে মাস্ক রাখার অনুরোধও করেন মুখ্যমন্ত্রী। পুজো প্যান্ডে বেশি ভলেন্টিয়ার রাখতে হবে এ বছর। তাঁদের জন্য মাস্ক ও স্যানিটাইজার ও শিল্ডেরর ব্যবস্থা করতে হবে ক্লাবগুলোকে।

পুজোর অতি গুরুত্বপূর্ণ হল অঞ্জলি, প্রসাদ বিতরণ ও সিঁদুর খেলা। ভিড় এড়াতে এ বছর মাইকে অঞ্জলি দেওয়ার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। সম্ভব হলে সাধারণ মানুষ ফুল ও বেলপাতা যেন বাড়ি থেকে নিয়ে যান। প্রসাদ বিতরণের সময়ও শারীরিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে। একসঙ্গে অনেকজন মিলে সিদুর খেলা যাবে না। এর জন্য দু-তিনটে টাইমিং রাখতে হবে। প্রয়োজন পড়লে সবাইকে কয়েকটি গ্রুপে ভাগ করে দিতে হবে। পুলিশের সঙ্গে ক্লাবের কো-অর্ডিনেশন তৈরি থাকা বাঞ্ছনীয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন তিনি। কারণ বেশি লোক জমে গেলে কোভিড বাড়বে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

18 − three =