কলকাতা: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্মদিন। ১৭ সেপ্টেম্বর। ৭১ বছরে পড়বেন নোমো। দেশ জুড়ে ওইদিন থেকেই বিজেপির নানান কর্মসূচি রয়েছে। রাজ্য বিজেপিও পিছিয়ে থাকতে চায় না। রাজ্য বিজেপি যুব মোর্চা এবং মহিলা মোর্চা আলাদা আলাদা কর্মসূচি নিয়েছে। ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে কর্মসূচি শুরু হচ্ছে, শেষ হবে ৭ অক্টোবর। উল্লেখ্য, ৭ অক্টোবর তারিখেই নরেন্দ্র মোদী প্রথমবার গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন।
বাংলার জনতার মধ্যে কতটা জনপ্রিয় মোদী? বিভিন্নস্তরে এই প্রশ্ন ওঠে এসেছে। বিভিন্ন মাধ্যমে আলোচনাও হয়েছে। বিগত লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচনে মোদীর বিরুদ্ধে ‘বহিরাগত’ শব্দবন্ধ ব্যবহার করে প্রচার চালিয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। ভোটের ফলাফল দেখে অনেকেই বলছেন, বহিরাগত প্রচারে সাফল্য পাওয়া গিয়েছে।
তবে, বাংলায় কে স্বাগত, কে বহিরাগত – একাধিকবার তার জবাব দিয়ে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিভিন্ন সভায় ভাষণ দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে বলেছেন – দিদি আপনি আমাদের বহিরাগত বলছেন! এই বাংলার পবিত্র ভূমি থেকে বঙ্কিমচন্দ্র লিখেছিলেন – বন্দেমাতরম। যে মাটি থেকে এই মন্ত্র উচ্চারিত হয়েছিল সেখানে কোনও ভারতবাসী কি বহিরাগত হতে পারে – প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন মোদী।
শুরু থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বহিরাগত তত্ত্ব প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়ে বঙ্কিমচন্দ্র, রবি ঠাকুর, সুভাষ চন্দ্র বোস, মাতঙ্গিনী হাজরার উদাহরণ দিয়ে মোদী বলছেন – ‘এই ব্যক্তত্বদের ভূমি থেকেই স্বাধীন ভারতের মন্ত্র উচ্চারিত হয়েছিল। এই ভূমিতে ভারতবাসিরা কেউ বহিরাাগত হতে পারে না দিদি ….। জাতীয় সঙ্গীত উদ্ধৃত করে মোদী বলেছেন , রবি ঠাকুর লিখেছিলেন, ”পঞ্জাব ও সিন্ধু, গুজরাট ও মারাঠা – দ্রাবিড়, উৎকল, বঙ্গ। সেই বঙ্গে কোনও ভারতবাসীকে কেউ বহিরাগত বলবে তা কী করে মেনে নেওয়া যায়?
সেই বাংলায় মোদীর জন্মদিন পালন নতুন কিছু নয়। বিজেপি আগেও এই কর্মসূচি নিয়েছে। এইবার একটু অন্যরকম। কারণ, গেরুয়া শিবিরের সর্বাধিক বিধায়ক বিধানসভায় জায়গা পেয়েছে। রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানান, মোদীর জীবন এবং তার কাজকর্মের উপর প্রদর্শনী হবে। পরিস্থিতি বুঝে সেই প্রদর্শনী ভার্চুয়াল মাধ্যমেও হতে পারে। ৭১ টি নদীতট পরিষ্কার করার কর্মসুচিও নেওয়া হয়েছে। হবে রক্তদান শিবির।