কলকাতা: নারদা মামলায় এবার নতুন মোড়। বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী সহ তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, সৌগত রায়ের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়ার জন্য চিঠি দিচ্ছে সিবিআই। এছাড়াও সিবিআইয়ের তালিকায় রয়েছেন সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভার অধ্যক্ষকে এই ইস্যুতে চিঠি পাঠাচ্ছে তারা। এর আগে ২০১৯ সালে অনুমতি চেয়ে চিঠি দিয়েছিল সিবিআই। এরপর আরও তিনবার অনুমতি চেয়ে চিঠি দিয়েছিল সিবিআই বলে জানা গিয়েছে। এবার এই মামলায় চার নেতা মন্ত্রীর গ্রেফতারির পর ফের চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
এদিকে শুরু হয়ে গিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে নারদ মামলার শুনানি। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে চলছে শুনানি। রাজ্যের তার হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায় জামিন পাবেন কিনা, সে দিকেই তাকিয়ে গোটা রাজ্য৷ সোমবার নিম্ন আদালত এই চার নেতাকে জামিন দিলেও, তাতে স্থগিতাদেশ জারি করে কলকাতা হাইকোর্ট৷ প্রসঙ্গত, সোমবার নিজাম প্যালেসের বাইরে যে ঘটনা ঘটেছে, তাতে এই মামলা অন্যত্র সরানো হোক বলে আর্জি জানিয়েছেন সিবিআই৷ অন্যদিকে, চার নেতার জামিনের রায়ে স্থগিতাদেশের বিষয়টিও পুনর্বিবেচনা করা হবে আজ৷
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা জানাচ্ছেন, তদন্তের স্বার্থেই চার্জশিট দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে তাঁদের গ্রেফতার করার প্রয়োজন ছিল৷ কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশেই সিবিআই তদন্ত করেছে। তাহলে তদন্তে বাধা দেওয়া হচ্ছে কেন? প্রশ্ন তুষার মেহেতার। এদিকে সিবিআই দাবি করছে, তদন্তের জন্য এই নেতাদের যখন ডাকা হয়েছিল তখন তাঁরা সাহায্য করেননি৷ একবার নয় একধিকবার তাঁদের নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি নিজাম প্যালেসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ধর্না’ প্রসঙ্গে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা বলেন, দেশের ইতিহাসে এটা বিরলতম ঘটনা।