কী ভাবে আগুন লাগানো হয়েছিল? বগটুই-কাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে আনা হল থ্রিডি স্ক্যানার

কী ভাবে আগুন লাগানো হয়েছিল? বগটুই-কাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে আনা হল থ্রিডি স্ক্যানার

রামপুরহাট: রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডে সিটের হাত থেকে তদন্তভার নিল সিবিআই৷ বগটুই গ্রামে গিয়ে শুরু হল তদন্ত৷ সিবিআই আধিকারিকদের পাশাপাশি আজ সকাল থেকেই আধুনিক যন্ত্রপাতি নিয়ে কাজে নেমে পড়েন সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির দল (সিএসএফএল), কেমিক্যাল ও ব্যালিস্টিক বিশেষজ্ঞরা।  থ্রি ডায়মেনশন লেজার ইমেজিং সিস্টেম ব্যবহার করে চলছে নমুনা সংগ্রহের কাজ৷ 

আরও পড়ুন- ব্রেকিং: চলন্ত ফলকনুমা এক্সপ্রেস থেকে ছিটকে গেল তিনটি বগি

সিএসএফএল আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, গত কয়েকদিন ধরে এই চত্বরে যত পায়ের ছাপ পড়েছে, এই মেশিনের সাহায্যে সেই ছবি সংগ্রহ করা যাবে৷ ফলক কোন দিক দিয়ে কত লোক ঢুকেছিল তা সহডেই বোঝা সম্ভব হবে৷ অভিযোগ, ঘটনার দিন প্রায় ৭০-৮০ জনের একটি দল ঢুকে এই এই অগ্নিসংযোগের ঘটনাটি ঘটিয়েছিল৷ তারা কোন দিক খেতে ঢুকেছিল এবং কোন দিন দিয়ে পালিয়েছিল এই থ্রিডি মেশিনে তার প্রমাণ মিলবে৷ এদিকে, হায়দরাবাদ থেকে সোজা বগটুই গ্রামে পৌঁছেছেন সিবিআই-এর স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চের জয়েন্ট ডিরেক্টর ঘনশ্যাম উপাধ্যায়৷ তাঁকে গোটা বিষয়টি ব্যাখ্যা করেন ডিআইজি অখিলেশ সিং৷ 

সোনা শেখ ও বানিরুল শেখের বাড়ির মধ্যে ফিতে দিয়ে দূরত্ব মাপার পাশাপাশি ব্যবহার করা হচ্ছে থ্রিডি স্ক্যান মেশিন। কারণ বগটুই তদন্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল কী ভাবে অগ্নিসংযোগ করা হল। তা জানতে অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য এই থ্রিডি স্ক্যান মেশিন। পাশাপাশি সোনা শেখের বাড়ির ছাদে উঠেও এলাকা জরিপ করেন তদন্তকারী অফিসাররা৷  কোন দিক থেকে আক্রমণ এসেছিল, তা বোঝার চেষ্টা করেন। ওই দিন হামলাকারীরা গ্রিল কেটে বাড়িতে ঢুকে আগুন লাগিয়েছিল, নাকি বাইরে থেকে বোমা বা ওই জাতীয় কিছু ভিতরে ছুড়ে আগুন ধরানো হয়েছিল,  সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।

আগুন লাগার কত ক্ষণ পর দমকল এসে পৌঁছেছিল গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে সেটাও জানার চেষ্টা করছেন অফিসাররা৷ এর জন্য কল রেকর্ডসও খতিয়ে দেখা হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে৷ দমকলের সঙ্গেও ইতিমধ্যেই সিবিআই আধিকারিকরা কথাবার্তা বলেছেন। পুলিশের তরফে সে দিন দমকলকে কী নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে৷ পাশাপাশি তদন্তকারীরা এও জানার চেষ্টা করছেন, আগুন লাগার খবর পাওয়ার পর কে প্রথম অকুস্থলে প্রথম করেছিলেন৷ 

এখনও পর্যন্ত এই মামলায় মোট ২১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ১৪৭, ১৪৮ এবং ১৪৯ ধারায় মামলা  দায়ের করা হয়েছে৷ অন্যদিকে, রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা আনারুল হোসেন সহ ধৃত ২২ জনকে হেফাজতে নিতে রামপুরহাট মহকুমা আদালতে গিয়েছে সিবিআই৷