কলকাতা: বকটুই-কাণ্ডে আদালতে প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ করল সিবিআই। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে বগটুই গণহত্যার তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা৷ পাশাপাশি এদিন ভাদু শেখ খুনেও সিবিআই তদন্তের দাবি জানান চার আবেদনকারী৷ বিজেপি’র আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল আদালতে বলেন, ভাদু শেখের হত্যা মামলার তদন্ত না হলে বগটুই-এর আসল ঘটনার তদন্ত সম্ভব নয়। দুটি ঘটনা একে অপরের সঙ্গে জড়িত৷ তাই সিবিআইকে দুটি ঘটনারই তদন্ত করতে হবে।
আরও পড়ুন- তপন কান্দু-খুনে CBI তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ, ডিভিশন বেঞ্চে গেল রাজ্য
বগটুই কাণ্ডে সিবিআই-এর রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘তদন্তভার গ্রহণ করার পর বেশ কিছুদিন সময় কেটে গিয়েছে। ভাদু শেখের বাড়ি ও আশেপাশে মানুষ হাঁটাচলা করেছে। তাই বেশিরভাগ তথ্যপ্রমাণই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তবে আদালত নির্দেশ দিলে আমরা তদন্তভার গ্রহণ করব’। এছাড়াও এই মামলার তদন্তে টাওয়ার ডাম্পিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে বলেও এদিন জানায় সিবিআই। তাদের আইনজীবী বিল্লোদ্বল ভট্টাচার্য বলেন, সিবিআইয়ের টিম ঘটনস্থলেই আছে। আদালত যে নির্দেশ দেবে, সেটাই মান্য করা হবে৷ আইনজীবী তরুণ জ্যোতি তিওয়ারি আদালতে বলেন, বগটুইয়ে সোনা শেখের বাড়ি পোড়ানো হয়েছে। তাঁর বাড়ি থেকেই মৃত দেহ উদ্দার হয়েছে। আবার ভাদুর খুনের ঘটনায় সোনা শেখের নামে এফআইআর হয়েছে। ১ মে ভাদু শেখ খুন হওয়ার পরেই বগটুইয়ে গণহত্যার ঘটনা ঘটে৷ কিন্তু, দুটি ঘটনার তদন্ত করছে দুটি পৃথক তদন্তকারী সংস্থা। এতে আসল সত্যিটা উদঘাটিত হতে পারে না।
অন্যদিকে, হাইকোর্টে রাজ্যের দাবি, ‘রামপুরহাট মামলায় একটি এফআইআর-এ ভাদু খুনের মামলার ভার সিবিআইকে দেওয়ার আর্জি ছিল। বর্তমানে পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত করছে। তাই সিবিআইকে তদন্তভার দেওয়ার প্রয়োজন নেই।’ অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন, প্রথম দিন থেকে আবেদনকারীরা ভাদু শেখের হত্যা মামলায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানাননি৷ এখন এসে আবেদনকারীরা দাবি জানাচ্ছেন। সিবিআই যদি বলে এই দুটি ঘটনার মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে, তাহলে আলাদা কথা। না হলে এই মুহূর্তে ভাদু শেখ হত্যার তদন্তভার হস্তান্তর করার কোনও প্রয়োজন রয়েছে বলে আমি মনে করি না।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>