কলকাতা: কয়লাকাণ্ডে পলাতাক ব্যবসায়ী অনুপ মাঝি ওরফে লালার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার জন্য এবার আদালতে আবেদন জানাল সিবিআই৷ আসানসোলে সিবিআই-এর বিশেষ আদালতে এই আবেদন জানানো হয়েছে৷ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তথা সিবিআই সূত্রে খবর, এই রাজ্যের পাশাপাশি ভিন রাজ্যে লালার একাধিক সম্পত্তির তালিকা আবেদনপত্রের সঙ্গে আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে৷
আরও পড়ুন- নবান্ন অভিযানে গুরুতর আহত বাম যুব কর্মীর অকাল মৃত্যু
বারবার লালাকে তলব করেছে সিবিআই৷ কিন্তু এখনও ফেরার কয়লা পাচারকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত৷ সল্টলেক ও পুরুলিয়ার বাড়িতে হানা দিয়েও একাধিকবার তল্লাশিও চালিয়েছে সিবিআই৷ কিন্তু লালার খোঁজ মেলেনি৷
এদিকে কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছে, কয়লা পাচার কাণ্ডে তল্লাশি চালাতে গেলে রাজ্যের অনুমতির প্রয়োজন নেই সিবিআইয়ের। আদালত আরও জানিয়েছে, কয়লা কাণ্ডে অভিযুক্ত এবং অন্যান্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত চালাতে পারবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। কয়লা পাচার কান্ডের মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এমনই রায় দিয়েছে৷
অন্যদিকে রোজভ্যালির সাউথসিটির দুটি ফ্ল্যাট খালি করার নির্দেশ দিল ইডি৷ এতদিন এখানে থাকতেন শুভ্রা কুণ্ডু এবং গৌতম কুণ্ডুর মা৷ বিনা অনুমতিতে এখান থেকে অফিস চালানো হত বলেও অভিযোগ৷ এবার পুরোটাই নিজেদের দখলে নিতে চায় ইডি৷ ইডির সদর দফতর থেকে চিঠি পাঠানোর পরই এই উদ্যোগ বলে জানানো হয়েছে৷
আরও পড়ুন- আদি-নব্য দ্বন্দ্বে জেরবার গেরুয়া শিবির! ‘ড্যামেজ কন্ট্রোলে’ নয়া দাওয়াই বিজেপির!
তিন দিন আগেই রোজভ্যালি কাণ্ডে এক অভিযুক্তের সাত বছর কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিল নগর দায়রা আদালত। ১২ কোটি ৮৫ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগের মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। রোজভ্যালি মামলা ইতিমধ্যেই বড় সাফল্য পেয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সংস্থার কর্ণধার গৌতম কুন্ডু ইতিমধ্যেই জেলে, অন্যদিকে কয়েক সপ্তাহ আগেই তার স্ত্রীকেও আর্থিক কেলেঙ্কারির মামলায় গ্রেফতার করেছে তারা।