কলকাতা: গত ১১ অগাস্ট রাখি পূর্ণিমার সকালে বোলপুরের বাড়ি থেকে গ্রফতার হন তৃণমূলের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা অনুব্রত মণ্ডল৷ সিবিআই হেফাজতের পর তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় সিবিআই-এর বিশেষ আদালত৷ ২৪ তারিখ থেকে তাঁর ঠিকানা আসানসোল সংশোধনাগারের আইসোলেশন ওয়ার্ড৷ মঙ্গলবার প্রথম তাঁকে জেরা করতে জেলে পৌঁছল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা৷
আরও পড়ুন- হাতে খালি দুটি কাজ! NCRB তথ্যের প্রেক্ষিতে শাহকে নিশানা অভিষেকের
সূত্রের খবর, অনুব্রতর পাশাপাশি এদিন জেরা করা হতে পারে তাঁর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকেও। ওই একই সংশোধনাগারে রয়েছেন তিনিও। গরুপাচার মামলায় অনুব্রতর আগেই গ্রেফতার হন তাঁর একদা দেহরক্ষী তথা ছায়াসঙ্গী সায়গল। এদিন প্রয়োজনে অনুব্রত ও সায়গলকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে বলেও জানা গিয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১২টা নাগাদ আসানসোল সংশোধনাগারে পৌঁছয় সিবিআই আধিকারিকদের চার সদস্যের একটি দল৷ প্রয়োজনীয় নথিপত্রও সঙ্গে নিয়ে আসেন তাঁরা৷
গরু পাচার-কাণ্ডের তদন্তে নেমে অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা সহ তাঁর একাধিক ঘনিষ্ঠের নামে একাধিক সম্পত্তির হদিশ পান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। তাঁদের সেই বিপুল সম্পত্তির উৎস কী তা জানতে মরিয়া সিবিআই আধিকারিকরা। মনে করা হচ্ছে, এদিন সুকন্যা-সহ বাকি ঘনিষ্ঠদের নামে থাকা একাধিক সম্পত্তির উৎস সম্পর্কেও অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। উল্লেখ্য, আগামী ৭ সেপ্টেম্বর ফের আদালতে পেশ করা হবে অনুব্রতকে৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>