কলকাতা: বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যে একাধিক বিষয় নিয়েই ক্রমশ বাড়ছে সিবিআইয়ের তৎপরতা। কিছুদিন আগেই গোরু ও কয়লা পাচার কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাজ্যের আইপিএস অফিসারদের একাংশকে তলব করেছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এবার তাঁদের নিশানার মুখে প্রখ্যাত জাদুকর পি সি সরকার।
পি সি সরকারের মুকুন্দপুরের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছেন সিবিআইয়ের আধিকারিকেরা। চিটফান্ড কাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহেই এই তল্লাশি চালানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর। বস্তুত, চিটফান্ড কাণ্ডে সিবিআই তদন্তে উঠে এসেছে টাওয়ার গোষ্ঠীর নাম। আর ওই গোষ্ঠীরই ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ছিলেন জাদুকর পি সি সরকার।
শুক্রবার এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আচমকাই পি সি সরকারের মুকুন্দপুরের পূর্বালোকের বাড়িতে হাজির হন বেশ কয়েকজন সিবিআই আধিকারিক। তাঁরা জাদুকরকে জিজ্ঞাসাবাদও করেন দীর্ঘক্ষণ। বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে চলে তল্লাশি। বাড়িতে পি সি সরকার ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তাঁর মেয়ে মৌবনী সরকার। টাওয়ার গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত আরো নানা জায়গাতেই তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর।
সূত্রের খবর, পি সি সরকারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁর বাড়িতে গেছেন সিবিআইয়ের ১০ জন গোয়েন্দা অফিসার। অভিযোগ উঠেছে, বিভিন্ন সময় টাওয়ার গোষ্ঠীর কাছ থেকে পি সি সরকার বিপুল অঙ্কের টাকা নিয়েছিলেন। কেন এই টাকা নেওয়া হয়েছিল, টাওয়ার গোষ্ঠীর সঙ্গে বিশেষ কোনো চুক্তি হয়েছিল কিনা মূলত তাই জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়।
সিবিআই সূত্রের খবর, টাওয়ার গোষ্ঠীর তরফ থেকে একটি রেস্টুরেন্ট খোলার কথা বলা হয়েছিল, যেখানে জাদু শো দেখাবেন পি সি সরকার। কিন্তু বাস্তবে কখনো রেস্টুরেন্ট খোলাই হয়নি। তবে কেন টাকা নিয়েছিলেন পিসি সরকার? রেস্টুরেন্টের আড়ালে অন্য কোনো চুক্তি আছে কি? ব্যাঙ্ক লেনদেনের খতিয়ানের বাইরে নগদ কোনো টাকার লেনদেন কি হয়েছিল? জানতে মরিয়া কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। উল্লেখ্য, দুদিন আগেই গোরু পাচার কাণ্ডে জড়িত অভিযোগে তৃণমূল কংগ্রেসের যুব নেতা বিনয় মিশ্রের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল সিবিআই। তারপর আজই চিটফান্ড কাণ্ডে নাম জড়ালো পি সি সরকারের। ভোটের আগে এই ঘটনা বাংলার রাজনৈতিক মহলে কতটা প্রভাব ফেলে সেটাই এখন দেখার।