কলকাতা: গাড়িতে লাল বাতির ব্যবহার অনেক দিন আগেই নিষিদ্ধ হয়েছে৷ মন্ত্রীদের তা ব্যবহার করার কথা নয়৷ কিন্তু, তিনি বোলপুর থেকে কলকাতায় এলেন বাতিওয়ালা গাড়িতে চেপে৷ সাদা গাড়ির মাথায় ঘুরছিল লাল আলো৷ পরদিন বুধবার টানটান উত্তেজনার মধ্যে চিনার পার্কের বাড়ি থেকে কালো গাড়ি চেপে পৌঁছলেন এসএসকেএম-এ৷ তখনও গাড়ির মাথায় লাল আলো৷ কী ভাবে শাসক দলের একজন নেতা হয়ে তিনি লাল বাতিওয়ালা গাড়ি নিয়ে ঘুরছেন? তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের লাল বাতিওয়ালা গাড়ি নিয়ে প্রশ্ন তুলল সিবিআই৷
আরও পড়ুন- মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে উদ্যোগী মমতা, বৈঠক হবে নবান্নে
কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রকের নির্দেশিকা অনুযায়ী, ব্যক্তিগত গাড়িতে লাল বাতির ব্যবহার নিষিদ্ধ। তবে বিমানবন্দর, বন্দর এবং খনিতে গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যবহৃত গাড়িতে বাদামি হলুদ বা অ্যাম্বর লাইট ব্যবহার করা যেতে পারে৷ অ্যাম্বুল্যান্স, দমকলের মতো জরুরি পরিষেবার গাড়িতে নীল আলো ব্যবহারের ছাড়পত্র রয়েছে৷ দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারীর গাড়িতে ‘মাল্টি কালার্ড লাইট’ অর্থাৎ এক সঙ্গে লাল, নীল ও সাদা আলোর ব্যবহারের নিয়ম রয়েছে৷ তবে কারা কারা এই সুবিধা পাবেন, রাজ্য সরকারকে তা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানাতে হবে৷ কিন্তু লাল বাতি নৈব নৈব চ৷
কেন্দ্রের সেই আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই মঙ্গলবার রাতে পুলিশি নিরাপত্তার ঘেরাটোপে লাল বাতি জ্বালানো ইনোভা গাড়িতে কলকাতায় পৌঁছলেন অনুব্রত৷ সাদা রংয়েও ওই ইনোভা গাড়িটি বোলপুর এআরটিও-র অধীনে ২০১৭ সালের ২৪ মে নথিভুক্ত হয়। সাত আসন বিশিষ্ট গাড়িটির মালিক হিসেবে নথিভুক্ত রয়েছে বিদ্যুৎবরণ গায়েনের নাম। গাড়ির কোনও হাতবদল হয়নি৷ ব্যক্তিগত মালিকানাধীন ওই গাড়ির মাথায় কী ভাবে লাল বাতি জ্বালানো হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
কী ভাবে অনুব্রতর গাড়িতে লাল বাতি এল, তা জানা নেই বীরভূম প্রশাসনের৷ যদিও অনুব্রত স্টেট রুরাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি এবং পশ্চিমবঙ্গ স্বরোজগার নিগম লিমিটেডের সভাপতি৷ এই দুটি পদই মন্ত্রীর সমতুল্য৷ সর্বোপরী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে গাড়ি ব্যবহার করেন, তার মাথাতেও কোনও আলো নেই৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>