নন্দীগ্রাম: নন্দীগ্রামে ভোট পরবর্তী হিংসা বলি হয়েছিলেন তিনজন। দু’জন বিজেপির এবং একজন তৃণমূলের৷ ওই মামলাতেই আদালতের নির্দেশে মঙ্গলবার নন্দীগ্রামে ভোটের পরবর্তী হিংসা খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থলে এসেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার ( সিবিআই ) প্রতিনিধিরা। মঙ্গলবার দুপুরে একটি প্রতিনিধিদল নন্দীগ্রামে এসে পোঁছায়৷ তাঁরা নিহতদের পরিজনদের সঙ্গে কথা বলেন। পাশাপাশি খেজুরিতেও যাওয়ার কথা রয়েছে প্রতিনিধি দলের৷
ভোট পরবর্তী হিংসার ধরণ খতিয়ে দেখতে এদিন নন্দীগ্রামের কেন্দামারী চিল্লগ্রাম, মহম্মদপুর, গোকুলনগর সহ একাধিক এলাকা পরিদর্শন করেন তাঁরা৷ জানা গিয়েছে, নন্দীগ্রাম বিধানসভা ভোট পরবর্তী হিংসা দু’জন বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়েছিল। নন্দীগ্রামে ভোট ছিল ১ এপ্রিল। সেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ভোটের দিন সকালে ভেকুটিয়া এলাকায় উদয়শঙ্কর ডুবে নামে এক বিজেপি কর্মীর বাড়ি সংলগ্ন এলাকা থেকে ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিরী মারধর করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দিয়েছে। ২ মে রেজাল্ট পর বিজেপি কর্মী দেবব্রত মাইতিকে বেধড়ক মারধর করো হয়৷ পরে কলকাতার হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়৷
অপরদিকে তৃনমূল বয়াল গ্রামের এক রবীন মান্না নামে এক তৃনমূল কর্মীর মৃত্যু হয়। তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, বিজেপির সন্ত্রাসে কারণে মৃত্যু হয়েছে। তারই তদন্তে এদিন সিবিআই দল পৌঁছেছে এলাকায়৷ সূত্রের খবর, নন্দীগ্রাম থেকে তাঁরা যাবেন খেজুরিতে৷ কারণ, গত ৫ মে খেজুরির বারাতলা অঞ্চলের মালদহ ১৬২ নং বুথ এলাকায় বিজেপি সমর্থিত বিধবা মহিলা অপর্ণা দাসকে গণধর্ষণ করে দুষ্কৃতীরা। মুখে বিষ ঢেলে প্রাণ মেরে ফেলা চেষ্টাও করা হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগ ওঠে স্থানীয় তৃনমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে প্রথমে খেজুরি কমারদা ব্লক প্রাথমিক হাসপাতালে। পরে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থা আরও সঙ্কট জনক হলে তমলুকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনাতেও রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে এলাকা।