কলকাতা: গরু পাচারের তদন্ত নেমে মহম্মদ এনামূল হকের সাম্রাজ্যের বিস্তার দেখে আগেই হতচকিত হয়েছিল সিবিআই৷ গরু পাচারের লেজ টানতেই উঠে এসেছে বিএসএফ-কাস্টমসের ১০ আধিকারিককে নাম৷ এবার বিএসএফ ও কাস্টমসের অন্দরে ‘মাখামাখি’ ঠিক কতদূর পর্যন্ত গড়িয়েছে, তা জানতে এবার কোমর বাঁধছে সিবিআই৷
সূত্রের খবর, তদন্ত পর্বে চিহ্নিতদের দফায় দফায় ডেকে জেরা করার পরিকল্পনা নিয়েছে সিবিআই৷ প্রথম পর্বে বিএসএফ ও কাস্টমসের ১০ আধিকারিককে ডাকা হবে খবর৷ এঁদের মধ্যে বেশিরভাগ মুর্শিদাবাদ ও মালদহে কর্মরত ছিলেন বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা৷ এই ১০ আধিকারের বিরুদ্ধে এনামূলের সিন্ডিকেটে ‘সহায়ক’ হয়ে ওঠার অভিযোগ উঠেছে৷ সিবিআই সূত্রে খবর, ১০ আধিকারিককে জেরার পর তলব করা হতে পারে এনামূলের ম্যানেজার-সহ সাঙ্গপাঙ্গদের৷ যারা সরাসরি গরু পাচারের সঙ্গে যুক্ত৷ সিবিআই তালিকায় উঠে এসেছে অন্ত ৪০ থেকে ৫০ জনের নাম৷ ডাকা হতে পারে কমপক্ষে ১২টি চাটার্ড ফার্মের কর্তাব্যক্তিদের৷ এনামুলের কালো টাকা সাদা করার কাজে তাঁদের ভূমিকাও সিবিআইয়ের নজরে৷
তদন্তকারী সংস্থার নজরে রয়েছে রয়েছে মালদহের মালতীপুর, মহদীপুর ও কালিয়াচক৷ এছাড়াও মুর্শিদাবাদের রানিনগরের কাতলামারি, জঙ্গিপুর ও লালগোলা কাস্টমসের গুচ্ছ অফিস নজরে রয়েছে তদন্তাকারীদের৷ তবে এনামূলের সঙ্গে সবচেয়ে ‘আন্তরিক’ হয়ে ওঠা জঙ্গিপুর-সহ বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা কাস্টমস অফিসরা নজরে রয়েছে সিবিআইয়ের৷