কয়লা পাচারকাণ্ডে সিবিআই তদন্ত কীভাবে? হাইকোর্টে মামলা ঠুকলেন লালা!

কয়লা পাচারকাণ্ডে সিবিআই তদন্ত কীভাবে? হাইকোর্টে মামলা ঠুকলেন লালা!

eee3357130ce1ccb0b21ab9b00422c81

নয়াদিল্লি: বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চড়তে শুরু করেছে রাজনৈতিক উত্তেজনা৷ বাংলার রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে এবার কয়লা পাচারের জাল গোটা অভিযানে নেমেছে সিবিআই৷ আচমকা সিবিআইয়ের তৎপরতা ঘিরে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক উত্তেজনাও তৈরি হয়েছে৷ এবার সিবিআইয়ের তরফে দায়ের করা এফআইআরকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করলেন অনুপ মাজি ওরফে লালা৷ কাল পাচারের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে লালাকে হন্যে হয়ে খুঁজছে সিবিআই৷ আর তার মাঝে লালার মামলার ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক৷

কলয়া পাচারের জাল গোটাতে রাজ্যের প্রায় ৪৫টি জায়গায় ইতিমধ্যেই তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই৷ বেআইনি কয়লা পাচার কাণ্ডে বাংলা, ঝাড়খন্ড সহ একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযানে নেমেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা, বর্ধমান, পুরুলিয়ার মতো জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েও লালার সন্ধান পায়নি সিবিআই৷ লালাকে হেফাজতে নিতে ইতিমধ্যেই এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই৷

রাজ্যে কয়লা পাচারকাণ্ডে সিবিআই তদন্ত কীভাবে? সিবিআই এফআইআর দায়েরকে চ্যালেঞ্জ করে এবার সরাসরি কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন অনুপ মাজি ওরফে লালা৷ রাজ্য সরকারের অনুমতি ছাড়া কীভাবে তদন্ত করছে সিবিআই?  ১৬-১১-২০১৮ রাজ্যে সিবিআই তদন্ত করার নির্দিষ্ট অনুমতি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে৷ তারপরে কীভাবে আসানসোলে কয়লাপাচার কাণ্ডে সিবিআই তদন্ত হয়? এই দাবি তুলে দায়ের হয়েছে মামলা৷ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য বেঞ্চে আগামী মঙ্গলবার মামলার শুনানি হতে পারে বলে আদালত সূত্রে খবর৷

কয়লা পাচার তদন্তের নামে হেনস্তা করা হচ্ছে৷ রাজ্যকে না জানিয়ে কেন বাংলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী এনে কেন কেন্দ্রীয় সংস্থা তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে? কেন্দ্রীয় বাহিনীর উদ্দেশ্য নিয়েও প্রশ্ন তোলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ পাল্টা বঙ্গ বাঁকুড়া সরফে এসে আক্রমণ করেন খোদ অমিত শাহ৷ ‘কয়লা মাফিয়া’দের ডেরায় অভিযান চললে কেন চিন্তিত হচ্ছেন ‘মমতাজি’? প্রশ্ন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর৷

কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, অবৈধ কয়লা খনির কারবারে যুক্ত ‘লালা’৷ অভিযোগ, বিপুল পরিমাণ কালো টাকা বিভিন্ন মাধ্যমে ‘সাদা’ করার কারবার ছিল এই মাফিয়ার৷ আয়কর দফতরের তদন্তে জানা গিয়েছে, ‘কয়লা মাফিয়া লালা’ বিপুল পরিমাণ টাকা এক প্রভাবশালীর আত্মীয়ের কাছে ‘মাসোহারা’ হিসাবে পৌঁছে যেত নগদ টাকা৷ কিছু না হলেও তা মাসে অন্তত ১০০ কোটি টাকা, অভিযোগ দফতরের৷ সম্প্রতি কলকাতা-সহ রাজ্যের ২২টি জায়গায় তল্লাশি অভিযানে বেশ কিছু নথি উদ্ধার হয়েছে বলে খবর৷ কোন প্রভাবশালীদের ‘মাসোহারা’ পাঠানো হত, তা জানার কাজ শুরু করে করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা৷ বেআইনি কয়লা খনি ছাড়াও লালার আয়ের উৎস কী, কোথা থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা এল তা জানার কাজ শুরু করেছে ইডি ও আয়কর দফতর৷  

শুধু লালা নন, একাধিক কেলেঙ্কারির অভিযোগে বাংলায় দফায় দফায় তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা৷ তল্লাশি অভিযান ঘিরে ইতিমধ্যেই তপ্ত হতে শুরু করেছে রাজ্য-রাজনীতির ময়দান৷ রাজ্যকে না জানিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী এনে কেন তাল্লাশির নামে হেনস্থা করা হচ্ছে? নবান্ন থেকে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী৷ (দেখুন ভিডিও) পাল্টা দেন অমিত শাহ৷ তল্লাশি অভিযান চললে ‘মমতাজি’ কেন চিন্তিত হচ্ছে? লালার সঙ্গে ‘মমতাজি’র কী সম্পর্ক রয়েছে? সেটি প্রকাশ্যে আসা প্রয়োজন বলেও কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন অমিত শাহ৷ (দেখুন ভিডিও)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *