নদিয়া: হাঁসখালি ধর্ষণ মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট৷ প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, আদালতের নজরদারিতে এই মামলার তদন্ত হবে। পুলিশের কাছে এফআইআর কপি চাইল সিবিআই৷ এরই মধ্যে হাঁসখালি কাণ্ডে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে৷ ফাঁস হয়েছে একটি অডিয়ো ক্লিপ৷
আরও পড়ুন- বস্ত্রহরণ চলছে বাংলায়! বিবরণ দিতে গিয়ে গলা ভারী হল ‘দ্রৌপদী’র
ওই অডিয়ো ক্লিপিংস শোনার পর মনে করা হচ্ছে, ফোনে যাঁরা কথা বলছিলেন, তাঁরা মূল অভিযুক্ত ব্রজগোপালের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন। কিন্তু, ওই ফোন রেকর্ড থেকে জানা যায়, ঘটনার দিন রাত সাড়ে আটটা নাগাদ তৃণমূল নেতার ভাগ্না দীপঙ্কর পোদ্দার মেয়েটিকে নিয়ে যান৷ প্রায় এক ঘণ্টা তাঁরা একসঙ্গে ছিলেন৷ সঙ্গে ছিল আরও এক ব্যক্তি। যদিও এই অডিয়ো ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি আজবিকেল.কম। ফোনে একজনকে বলতে শোনা যায়, রাত সাড়ে আটটা নাগাদ দীপঙ্কর মেয়েটিকে ধর্ষণ করে৷ পরে মেয়েটির মায়ের কাছে তাঁকে দিয়ে আসা হয়।
অভিযোগ, ঘটনার দিন নির্যাতিতাকে মাদক খাওয়ানো হয়েছিল৷ ওই দিন মাদক সরবরাহের অভিযোগে স্থানীয় কলাতলা মোড়ে একটি মনোহারি দোকানের মালিক রসময় বিশ্বাসকে আটক করেছে পুলিশ৷ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে৷
এদিকে, এই ঘটনার পর থেকেই মৃত তরুণীর বাবা-মা গুরুতর অসুস্থ৷ তাঁদের বগুলা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷ অন্যদিকে, বগটুইয়ের পর হাঁসখালি ধর্ষণ-কাণ্ডেও সত্যসন্ধানী কমিটি তৈরি করেছে বিজেপি। কমিটির পাঁচ সদস্য ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দ্রুত রিপোর্ট পাঠাবে দিল্লিতে৷ কমিটিতে রয়েছেন ৫ বিজেপি নেত্রী।
এরই মধ্যে মঙ্গলবার হাঁসখালির নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান বিজেপি নেতারা। সেই দলে ছিলেন বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীও। তাঁর দাবি, হাঁসখালির ঘটনার জন্য দায়ী তৃণমূল নেতারা। অভিযুক্ত সবাই শাসকদলের নেতা বলেও সুর চড়ান তিনি৷ পাশাপাশি, নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলে সিবিআই তদন্তের দাবিও জানান তিনি৷ শুভেন্দুর কথায়, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর লজ্জা হওয়া উচিত! মা বলছে আমার মেয়ে গর্ভবতী নয়। মুখ্যমন্ত্রীর উচিত আগামিকাল এখানে এসে গলায় গামছা দিয়ে পরিবারের কাছে ক্ষমা চাওয়া।’’
হাঁসখালি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট৷ ঘটনার তদন্তে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে৷ মঙ্গলবার আদালতের পর্যবেক্ষণ, পুলিশের কেস ডায়েরি এবং আদালতে দেওয়া রাজ্যের বয়ানের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। রাজ্যের তরফে জানানো জানিয়েছিল, নির্যাতিতার দেহ কোনও শ্মশানে দাহ করা হয়নি। তাঁর মৃত্যুর কোনও শংসাপত্র নেই। কিন্তু কেস ডায়েরি বলছে, দেহ সৎকার করা হয়েছে শ্যামনগর-অতীরপুর শ্মশানঘাটে।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>