কলকাতা: নারদা মামলা ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে বলে আদালতে ইতিমধ্যেই আর্জি জানিয়েছে সিবিআই। তার প্রেক্ষিতে আদালতের প্রশ্ন, চার্জশিটের পর কেন হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে হবে! ধৃত এই চারজনকে ভার্চুয়ালি আদালতে পেশ করা হয়েছে। কারণ করোনাভাইরাস পরিস্থিতির দিকে নজর দিয়ে সশরীরে আদালতে উপস্থিত হননি কেউ। এদিকে ধৃত চারজনই আদালতে জামিনের আবেদন করেছেন।
আদালতের স্পষ্ট বক্তব্য, একবার যখন সিবিআই চার্জশিট জমা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে তখন আলাদা করে আর কী জিজ্ঞাসা করতে হবে সেই বিষয়ে জানা অত্যন্ত জরুরী। আর কোন কোন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে সেই বিষয়েও সিবিআইয়ের তরফে জানতে চেয়েছে আদালত। ইতিমধ্যেই আদালতে এসেছেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য্য, সুজিত বসু, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং অরূপ বিশ্বাস। সিবিআই জানিয়েছিল, তৎকালীন চার মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়কে নারদা মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। ২০১৭ সালের ১৬ এপ্রিল সিবিআই সঙ্গে সঙ্গেই মামলা রুজু করেছিল তাদের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী। সেই প্রেক্ষিতেই আজ চার্জশিট জমা পড়েছে এবং তদন্ত প্রক্রিয়া চলছে বলে জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তরফ থেকে। এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নির্দেশ মতো এই কাজ করেছে সিবিআই। তাদের স্পষ্ট বক্তব্য, বাংলার নির্বাচনের রায় মানতে পারছে না বিজেপি।