Aajbikel

অভিষেককে জেরার পর এবার জেলে গিয়ে কুন্তলকে জেরা করবে সিবিআই?

 | 
অভিষেক

নিজস্ব প্রতিনিধি:  শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষের চিঠি সংক্রান্ত মামলায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সিবিআইয়ের জেরা করার বিষয়টি নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে যথেষ্ট কৌতূহল তৈরি হয়েছে। পরবর্তীতে কি ঘটতে পারে তা নিয়ে নানা জল্পনা চলছে। এই আবহের মধ্যে অভিষেককে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর সিবিআই আধিকারিকরা নতুন করে কুন্তল ঘোষকে জেরা করতে চলেছেন বলেই খবর।

 

নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত বহিষ্কৃত তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষের চিঠি সংক্রান্ত মামলায় গত শনিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাড়ে নয় ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। সিবিআইয়ের এসপি ও ডিএসপি পদমর্যাদার দুই আধিকারিকের পাশাপাশি এই সংক্রান্ত মামলার তদন্তকারী অফিসার অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন বলে খবর। সেখানে অভিষেক যে বয়ান দিয়েছেন তার সঙ্গে কুন্তলের বক্তব্য মেলে কি না সেটা জানতেই জেলে গিয়ে কুন্তলকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন সিবিআই কর্তারা, এমনটাই জানা গিয়েছে। গত ২৯ মার্চ শহিদ মিনারের মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অভিষেক 'এজেন্সির চাপ' সংক্রান্ত মন্তব্য করেন। পরদিনই একই অভিযোগ করতে শোনা যায় কুন্তল ঘোষকে। শহিদ মিনার ময়দানে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভায় ঠিক কি বলেছিলেন অভিষেক? সেদিন অভিষেক বলেন,''যবে থেকে সারদা হয়েছিল আক্রমণ ছিল আমার দিকে। মদন মিত্র, কুণাল ঘোষ দীর্ঘদিন কাস্টডিতে ছিলেন। কি বলেছে জানেন এঁদের?

 

 

অভিষেকের নাম নাও, ছেড়ে দেব।'' ঠিক তার পরদিনই আলিপুর আদালতে পেশ করার সময় কুন্তল সাংবাদিকদের বলেন, "অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলানোর জন্য চেষ্টা করছে। মহামান্য আদালতকে সবটা জানিয়েছি''। কুন্তলের চিঠিতে অভিযোগ ছিল অভিষেক নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত, এই মর্মে তাঁর স্বীকারোক্তি আদায়ের জন্য ইডি এবং সিবিআই আধিকারিকরা তাঁকে নির্যাতন করেছিলেন। এভাবেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে  নিশানা করেছিলেন কুন্তল। যদিও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে। আর কুন্তলের সেই চিঠি সংক্রান্ত মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশে সিবিআই দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ করেছে অভিষেককে। জানা গিয়েছে চিঠি সংক্রান্ত বিষয়ের পাশাপাশি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একাধিক অভিযুক্তকে অভিষেক চেনেন কিনা সে বিষয়ে তাঁর কাছে জানতে চেয়েছেন তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, অভিষেক তদন্তকারীদের জানিয়েছেন ওই চিঠি কুন্তলের ব্যক্তিগত বিষয়।

 

এ ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না বলে দাবি করেছেন অভিষেক। যদিও সিবিআই অভিষেকের ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট নয় বলেই খবর।  এই পরিস্থিতিতে জেলে গিয়ে কুন্তলকে জেরা করতে চান সিবিআই আধিকারিকরা।‌ এরপর কী? আবার কী অভিষেককে জেরার জন্য নোটিস পাঠানো হবে? সেক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তে নতুন বাঁক দেখা দিতে পারে? এই জল্পনা যে চলতেই থাকবে তা স্পষ্ট।

Around The Web

Trending News

You May like