কলকাতা: গরু পচারা মামলার তদন্তে নয়া মোড়৷ বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারের ৬দিন পর সবিআই-এর হাতে এল কললিস্ট৷ সিবিআই-সূত্রে খবর, এই কললিস্ট ঘেঁটে দেখা গিয়েছে গরু পাচার কাণ্ডের কিংপিং এনানুল হক এবং আব্দুল লতিফের সঙ্গে নিয়মিত ফোন কথা হত কেষ্টর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের৷
আরও পড়ুন- বিপুল জমিজমা, ফ্ল্যাট… অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গলের সম্পত্তি দেখে চোখ কপালে CBI-এর
সিবিআই সূত্রে খবর, এনামুল হক এবং আব্দুল লতিফের সঙ্গে অন্তত ১৬ বার ফোনে কথা হয়েছে সায়গল হোসেনের৷ গরু পাচার মামলায় সিবিআই আদালতে যে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দিয়েছে, সেখানে সায়গল হোসেনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে৷ একইসঙ্গে স্পষ্ট করা হয় কীভাবে এই ঘটনায় সায়গলের নাম যুক্ত হয়েছে।
গরু পাচার মামলার তদন্তে নেমে এনামুল ও আব্দুল লতিফের বিরুদ্ধে একাধিক তথ্য-প্রমাণ সিবিআই-এর হাতে এসেছে। তাঁরা জানতে পেয়েছেন, ভিন রাজ্য থেকে গরু নিয়ে আসা হত বীরভূমে ইলামবাজারের গরুর হাটে৷ সেখান থেকে ট্রাকে করে চোরা পথে গরু পাচার করা হত৷ এই হাটের নিয়ন্ত্রণ ছিল আব্দুল লতিফের হাতে৷ সিবিআই সূত্রে খবর, এই হাট থেকেই মালদা-মুর্শিদাবাদ হয়ে সীমান্ত পার করে গরু বাংলাদেশে পাচার হত৷ কিন্তু এখানে সায়গলের ভূমিকা কী?
সিবিআই জানাচ্ছে, সায়গল শুধুমাত্র অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষীই ছিলেন না, ছিলেন সর্বক্ষণের ছায়াসঙ্গী। অনুব্রতর হয়ে সায়গলই কথা বলতেন এনামুল, আব্দুল লতিফদের সঙ্গে। পাচার প্রক্রিয়া মসৃণ করতেই সায়গলের সঙ্গে যোগাযোগ বলে সিবিআই সূত্রে খবর৷
সিবিআই তাদের চার্জশিটে আরও জানিয়েছে, ২০১৫ সাল থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে প্রায় ১৬ বার সায়গলের সঙ্গে এনামুল ও আব্দুল লতিফের ফোনে কথা হয়েছিল। কোন কোন নম্বর থেকে ফোন এসেছিল, চার্জশিটে তারও উল্লেখ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি আরও একটি তাৎপর্যপূর্ণ একটি বিষয় চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে৷ সেটা হল- ‘অন দ্য বিহাফ অব অনুব্রত মণ্ডল৷’
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>