কলকাতা: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বেনজির তল্লাশি চালিয়ে টাকার পাহাড় উদ্ধার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)৷ গরু পাচার মামলায় অবশ্য এখনও কোনও টাকা উদ্ধার করতে পারেনি সিবিআই৷ তবে অনুব্রত মণ্ডলের বিপুল সম্পত্তির হদিশ মিলেছে৷ কেষ্টর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের সম্পত্তি দেখে মাথা ঘুরে গিয়েছে তদন্তকারী অফিসারদের৷ তাঁদের নজরে রয়েছে অনুব্রত-কন্যা সুকন্যার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট৷ পাশাপাশি অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ আরও ১২ থেকে ১৫ জনের উপর সিবিআই-এর নজর রয়েছে বলে খবর৷
আরও পড়ুন- অনুব্রতর কল্যাণে বীরভূমের বাড়িতে চলছে বিশাল যজ্ঞ, বসেছে কীর্তনের আসর
সায়গলের বিরুদ্ধে যে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে, তাতে নাম রয়েছে অনুব্রত মণ্ডলেরও৷ সিবিআই-এর তদন্তকারী অফিসারদের দাবি, বীরভূমে তৃণমূল জেলা সভাপতির হয়ে টাকা তুলতেন তাঁর দেহরক্ষী। সেই টাকার নির্দিষ্ট অংশের ভাগ যেত তাঁর ঝুলিতেও৷ সেই বেআইনি টাকাতেই ফুলেফেঁপে উঠেছিলেন সায়গল৷ এখনও পর্যন্ত তদন্তকারীরা অফিসাররা সায়গলের যে সম্পত্তির হজিশ পেয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে ডোমকলের ৩৬টি জমির প্লট (বাজার দর ২ কোটি ৫৮ লাখ টাকা), বোলপুরে ৭ টি জমির প্লট (বাজার দর ১ কোটি ৫ লাখ টাকা), সিউড়িতে ৭টি জমির প্লট (বাজারদর ৭২ লাখ টাকা), বীরভূমের অন্যত্র পাঁচটি জমির প্লট (বাজার দর ৮৫ লাখ টাকা), ইলামবাজারে একটি পেট্রোল পাম্প, ২টি লরি, বিমানবন্দর নিউটাউন এলাকায় ৩টি ফ্ল্যাট (বাজার দর ৬০ লাখ টাকা), নিউটাউন এলাকায় একটি ফ্ল্যাট (বাজার দর ১০ লাখ), ৩৭ লক্ষ টাকার গয়না এবং সাড়ে চার লক্ষ টাকা নগদ৷
সিবিআই-এর দাবি, অনুব্রতর কুকর্মের সঙ্গী ছিলেন সায়গল৷ সিবিআই যে ৮০ পাতার সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশ করেছে, তাতে ৪৫টি সম্পত্তির উল্লেখ রয়েছে। এই আবহে সিবিআই-এর নজর রয়েছে তাঁর মেয়ের উপরেও৷ অনুব্রতর সঙ্গে সুকন্যার কটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে, তাঁর নামে কত সম্পত্তি রয়েছে, সবকিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ পাশাপাশি অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বেশ কয়েকজনের নামেও বিপুল সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে। সেই সকল ব্যক্তির নামের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>