cbi
কলকাতা: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে গাজিয়াবাদ থেকে উদ্ধার হয় হার্ড ডিস্ক৷ সেখানে থাকা তথ্য যে অবিকৃত এবং আসল, সে কথা হলফনামা দিয়ে দাবি করল সিবিআই।
সোমবার এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চে৷ এদিন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে আদালতে হলফনামা জমা দেন কেন্দ্রের ডেপুটি সলিসিটর জেনারেল বিল্বদল ভট্টাচার্য। সূত্রের খবর, হলফনামায় ওই হার্ড ডিস্কে কী কী তথ্য আছে এবং সেই তথ্য যে আসল, তা কী ভাবে বোঝা গিয়েছে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। উত্তরপত্র স্ক্যান করার পর তথ্য বিকৃত করে বিশেষ কিছু পরীক্ষার্থীর নম্বর কী ভাবে বাড়ানো হয়েছে, সেই ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে৷ এমনকী উত্তরপত্র স্ক্যান এবং সফল পরীক্ষার্থীদের তালিকা তৈরির দায়িত্বে থাকা সংস্থা ‘নাইসা’-র একাধিক কর্মী কী ভাবে এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলেন, সেই বিষয়টিও রিপোর্টে স্পষ্ট করা হয়েছে৷
কোন কোন পরীক্ষার্থীর নম্বর বাড়াতে হবে সেই তালিকা নীলাদ্রি দাস-সহ নাইসার আধিকারিকদের কাছে পৌঁছে গিয়েছিল। এই কাজ সারতে নীলাদ্রি পৃথক একটি সংস্থা খোলেন৷ সেখানে পঙ্কজ বনশল-সহ নাইসার কিছু কর্মীকে নিযুক্ত করেন। অভিযোগ, নাইসা-র সার্ভার যাবতীয় তথ্য তাঁরা হাতিয়ে নিয়েছিলেন৷ কোনও পরীক্ষার্থী আরটিআই করলে নীলাদ্রিরা সেই তথ্য সরবরাহ করতেন৷ পঙ্কজের বাড়ি থেকে তিনটি হার্ড ডিস্ক উদ্ধার করেছিলেন কেন্দ্রীয় এজেন্সির আধিকারিকরা৷ সেই হার্ড ডিস্ক অন্যান্য প্রাপ্ত তথ্যের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা যায় এসএসসি-র সার্ভারের সঙ্গে তার কোনও মিল নেই।