কলকাতা: গরু পাচার চক্রের মূল হোতা এনামুল হককে হেফাজতে পেল না সিবিআই। আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত এনামুলকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। শুক্রবার বিকেলে আদালতের তরফে নির্দেশিকা জারি করা হয়। এনামুলের পাশাপাশি বিএসএফ কর্তা সতীশ কুমারকেও ১১ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার সকালে আত্মসমর্পণ করে গরু পাচার চক্রের মূল চক্রী এনামুল হক। আদালত সূত্রে খবর, তাকে নিজেদের হেফাজতে আবেদন করেছিলেন সিবিআইয়ের আইনজীবীরা। এনামুলকে হেফাজেতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালাতে চেয়েছিল সিবিআই। কিন্তু এনামুলের আইনজীবীরা অভিযুক্তের জামিনের জন্য আবেদন করেন। তাঁদের বক্তব্য ছিল গত নভেম্বর মাসে এনামুলকে দিল্লি থেকে সিবিআই গ্রেফতার করেছিল। তখনই অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েছিল এনামুল। এখন জামিনের মেয়াদ বাড়ানো না হলে তাকে সিবিআই হেফাজতের নিতে পারে না। এর উত্তরে সিবিআইয়ের তরফে এই তথ্য জানানো হয় আদালত যদি এনামুল হক এবং সতীশ কুমার দু’জনকেই জামিন দেয় তবে তারা প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করতে পারে। এমনকী প্রভাব খাটিয়ে তদন্তের কাজে বাধা দিতে পারে বলেও জানান সিবিআইয়ের আইনজীবীরা। এরপরই আদালত এনামুল এবং সতীশ দুজনকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়।
প্রসঙ্গত গত মাসের ৬ তারিখ দিল্লি থেকে এনামুল হককে গ্রেপ্তার করে। ৭ নভেম্বর তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এনামুলের আইনজীবী শেখর কুণ্ডু জানান ৭ নভেম্বর দিল্লির আদালত এনামুলকে অন্তবর্তীকালীন জামিন দেয় ও সিবিআই তদন্তকারী অফিসারদের সাথে দেখা করতে বলে। এনামুল আদালতের নির্দেশ পালন করে। কিন্তু সেই সময় তার করোনা হয়। সিবিআই নিজেই বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল থেকে এনামুলের পরীক্ষা করায়। এরপরই শেখর কুণ্ডু দাবি করেন যখন এনামুল একবার জামিন পেয়েছে তাহলে হয় তার মেয়াদ বাড়াতে হয় না হলে তা খারিজ করতে হয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে যেহেতু মেয়াদ বাড়ানো হয়নি তাই এনামুল ‘ডিমড কাস্টডি’তে ছিল বলে ধরে নিতে হবে। তাই ১৪ দিনের বেশি তাকে সিবিআই হেফাজতে রাখা যাবে না বলে সাফাই দেন তিনি।