আসানসোল: কয়লা খনিতে দুর্নীতি তথা কয়লা পাচার সংক্রান্ত বিষয়ে গত কয়েক মাস ধরে সিবিআইয়ের সক্রিয়তা চোখে পড়ার মতো বৃদ্ধি পেয়েছে। রাজনৈতিক নেতা কর্মী থেকে শুরু করে উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাত থেকে রেহাই পাননি কেউই। তদন্তে নেমে একের পর এক হেভিওয়েট ব্যক্তিত্বকে শমন পাঠিয়েছেন গোয়েন্দারা। এহেন আবহেই এবার কয়লা দুর্নীতিতে নাম জড়ালো সিএমপিএফ আধিকারিকদের।
কোল মাইন প্রভিডেন্ট ফান্ডের (CMPF) প্রাক্তন দুই আধিকারিকসহ মোট পাঁচ জনকে দুর্নীতির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত, এমনটাই জানা গেছে সূত্রের খবরে। জানা গেছে, ভুয়ো নামে অ্যাকাউন্ট খুলে পোস্ট অফিস থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা সরানোর অভিযোগ উঠেছিল এই সমস্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে। তদন্তের পর যে ৫ জন দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন তাঁদের প্রত্যেককে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে সিবিআই আদালত।
শুধু কারাবাস নয়, অভিযুক্তদের মোট অঙ্কের জরিমানাও হয়েছে বলে জানা গেছে সিবিআই সূত্রের খবরে। সিএমপিএফ-এর প্রাক্তন সেকশন ইনচার্জ রামদেব প্রসাদ, প্রাক্তন ডিলিং অফিসার কে কে প্রসাদ ছাড়াও এদিন বিশেষ আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন হরিপুরা পোস্ট অফিসের প্রাক্তন সাব পোস্টমাস্টার বি সি কৈবর্ত। এছাড়া বিধানচন্দ্র রায় এবং অজয় কুমার সিংহ নামের দুই বেসরকারি ব্যক্তিকেও সাজা দিয়েছে সিবিআই আদালত। বলা হয়েছে, সাত বছরের কারাদণ্ড ছাড়াও প্রথম তিন জন অপরাধীকে দিতে হবে ৩০০০০ টাকা জরিমানা এবং বাকি দুজন ১০০০০ টাকা করে দিতে বাধ্য থাকবেন।
ঠিক কী অভিযোগ আসামিদের বিরুদ্ধে? সিবিআই সূত্রের খবর, কোলিয়ারির দুই অফিসারের নাম করে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে ৫০০০০ টাকা করে লোন নিয়েছিলেন অভিযুক্তরা। হরিপুরা পোস্ট অফিস থেকে এই লোন নেওয়া হয়েছিল। তদন্তের পর আসানসোলের সিবিআই আদালত ওই ৫ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে।