শ্যামনগর: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় জগদ্দলের শ্যামনগর রাহুতার বি আর এস কলোনিতে বিজেপি কর্মীর বৃদ্ধা মা শোভা রানি মণ্ডলের খুনের ঘটনায় সিবিআইয়ের জালে আটজন। ধৃতরা হলেন বিশ্বনাথ ঘোষ, সঞ্জয় মিস্ত্রি, বাসুদেব ঘোষ, দেবাশিস ঘোষ, মনিকা মজুমদার, রুমা সিংহ, রুপালি হালদার, শম্ভু চক্রবর্তী। ধৃতদের মধ্যে বিশ্বনাথ ঘোষ ভাটপাড়া পুরসভার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর এবং সঞ্জয় মিস্ত্রী ওই ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর। ধৃতদের বিরুদ্ধে সিবিআইয় ৩০২, ৩০৭, ৩২৫, ৪২৭, ৪৪৮ ও ৩৪ ধারায় মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত করছে। প্রসঙ্গত, ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত রতন হালদার জেলে বন্দি থাকাকালীন ওকে নিজেদের হেফাজতে নেয় সিবিআই।
সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখে রতনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বাকিদের সনাক্ত করেন তদন্তকারী অফিসারেরা। নোটিশ দিয়ে তদন্তকারীরা ১৩ জনকে সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠায়। দীর্ঘক্ষন ওদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে আটজনকে তদন্তকারীরা গ্ৰেপ্তার করে।
প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচনে ফল ঘোষণার দিন অর্থাৎ ২ মে রাতে জগদ্দল বিধানসভা কেন্দ্রের ভাটপাড়া পুরসভার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের ১৭১ নম্বর বুথ সভাপতি শ্যামনগর রাহুতা বি আর এস কলোনীর বাসিন্দা কমল মণ্ডলের বাড়িতে হামলা চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। ওইদিন কমল-সহ তার স্ত্রী ও মা-কে মারধর করা হয়। আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর মা শোভা রানী মণ্ডলকে ( ৬৯) কল্যাণীর জে এন এম হাসপাতালে ভর্তি করা হলে পরদিন সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃতার পরিবারের পক্ষ থেকে জগবন্ধু ঘোষ ওরফে জগা, কৃষ্ণ দাস ওরফে কাঞ্চা, জগবন্ধুর স্ত্রী মৌ ঘোষ, ঝর্ণা মিস্ত্রি ও রতন হালদারের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।
অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে জগদ্দল থানার পুলিশ জগবন্ধু ঘোষ ও কৃষ্ণ দাস নাম দুই তৃণমূল কর্মীকে গ্রেপ্তার করে।পরবর্তীকালে জগবন্ধু ও কৃষ্ণ জামিন পেয়ে যায়। পুজোর মধ্যেই গ্রেফতারির ঘটনায় এলাকায় ছড়িয়েছে রাজনৈতিক উত্তেজনা।