cbi
কলকাতা: প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পালকে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আজ সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে তাঁকে নিজাম প্যালেসে যেতে বলেছেন বিচারপতি। জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে পর্ষদের ডেপুটি সেক্রেটারি পার্থ কর্মকারকেও। প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতিকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। বিচারপতির নির্দেশ, তদন্তে সহযোগিতা না করলে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতিকে হেফাজতেও নিতে পারে সিবিআই! অর্থাৎ তিনিও গ্রেফতার হতে পারেন।
আসলে সিবিআই এই সংক্রান্ত মামলার শেষ যে রিপোর্ট দিয়েছে তা থেকে স্পষ্ট, এস বসু রায় এণ্ড কোম্পানি এমনভাবে ওএমআর সিট ডিজাইন করেছিল যাতে প্রার্থীর নাম, রোল নম্বর সমস্ত কিছু স্পষ্ট বোঝা না যায়। আদালত একাধিক মামলার শুনানির প্রেক্ষিতে বুঝেছে যে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ কিছু নতুন প্রিন্ট করা কপিকে ডিজিটাইজ ডাটা হিসাবে চালাতে চাইছে। এই ইস্যুতেই বিস্তারিত তথ্য পেতে সিবিআই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পালকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চলেছে। সিবিআইয়ের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য এই দুর্নীতিতে পুরোপুরি যুক্ত ছিলেন। তাই বর্তমানে কী অবস্থা সংস্থার তা জানতেই এই জিজ্ঞাসাবাদ।
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এই বিষয়ে বলেন, বর্তমান বোর্ড মেম্বাররাও এস বসু রায় এণ্ড কোম্পানিকে পরে দায়িত্ব দিয়েছে। সেই জন্যই তাদের জিজ্ঞসাবাদের প্রয়োজন আছে। তাই আদালতের মনে করছে, সিবিআইয়ের উচিত বর্তমান সভাপতি গৌতম পাল ও সেক্রেটারি পার্থ কর্মকারকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা। স্পষ্ট নির্দেশ, সিবিআই যদি মনে করে সেক্রেটারিকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন তাহলে পরে তাকে ও বোর্ডের অন্যান্য সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। যদি তারা সহযোগিতা না করে তাহলে সিবিআইকে পূর্ণ ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে তাদের হেফাজতে নিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করা যাবে।