কলকাতা: বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে ভোটে লড়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কেন্দ্রে তাঁর মুখ্য নির্বাচনী এজেন্ট ছিলেন শেখ সুফিয়ান। এবার তাঁকেই ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় তলব করা হল। তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। আগামীকালই অর্থাৎ বৃহস্পতিবার তাঁকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নন্দীগ্রামের চিল্লোগ্রামের বাসিন্দা তথা বিজেপি সমর্থক দেবব্রত মাইতিকে খুনের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ওই কাণ্ডে নাম জড়ায় সুফিয়ানের। বিজেপি প্রথম থেকেই অভিযোগ করে আসছিল যে নির্বাচনের আগে থেকেই ওই এলাকায় তৃণমূল হিংসা ছড়াচ্ছে। ভোটের ফল প্রকাশের পর সেই অভিযোগ আরও বাড়তে থাকে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। নিশানায় থাকেন এই শেখ সুফিয়ান। খুনের অভিযোগের পাশাপাশি ভোট পরবর্তী হিংসা মামলাতেও জড়িয়ে গিয়েছেন তিনি, সেই প্রেক্ষিতেই সিবিআই তলব করা হল তাঁকে। নন্দীগ্রামে তদন্তের প্রেক্ষিতে মানবাধিকার কমিশনও গিয়েছিল, তখন তাঁদের দেবব্রত মাইতি খুন ইস্যুতে অভিযোগ জানান হয়।
আরও পড়ুন- ক্রমশ বাড়ছে ভাইরাল নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা, কী বলছেন চিকিৎসকরা?
বিজেপি ক্রমাগত অভিযোগ করেছে যে রাজ্যজুড়ে হিংসা বেড়েছে এবং তৃণমূল কংগ্রেসের মদতে এই হিংসা হচ্ছে। যদিও প্রথম থেকেই রাজ্যের শাসক দল এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তবে রাজ্যে যে বিক্ষিপ্ত হিংসার ঘটনা ঘটছে তা অজানা নয় কারোর। তবে এখন আবার হিংসার ঘটনায় লাগাম টানতেই এবার কড়া পদক্ষেপের কথা ভাবছে রাজ্য। ভোট পরবর্তী হিংসা ইস্যুতে ইতিমধ্যেই রাজ্যের মুখ্যসচিব ডিএম, এসপি, সিপি সহ প্রশাসনিক কর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেছেন। নির্দিষ্ট এলাকায় এলাকায় আইনের শাসন বজায় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন- নিজের কেন্দ্রেই ‘গো ব্যাক’! হ্যাক হল অগ্নিমিত্রার টুইটার অ্যকাউন্ট, নালিশ লালবাজারে
বিধানসভা নির্বাচনে বিক্ষিপ্ত হিংসার ঘটনার ছবি সামনে এসেছিল। ভোটের ফলের পর আরও ঘটনা সামনে আসে এবং বিজেপি আরও আক্রমণ শুরু করে। এখন সেই আবহ ঠিক না হওয়ার মধ্যেই আবার বাংলায় নির্বাচন। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুর উপনির্বাচন সহ আরও দুই জায়গায় ভোট। তাই রাজ্য প্রশাসন কোনও রকম ঝুঁকি নিতে রাজি নয়। এই বৈঠকে প্রশাসনিক স্তরে যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, দুষ্কৃতীরা যাতে অস্ত্রশস্ত্র, তাজা বোমা ব্যবহার করতে না পারে তার ওপর কড়া নজর রাখতে হবে। নির্বাচন কমিশনও এই হিংসা নিয়ে চিন্তিত তাই তারাও নিজেদের মত পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে রাজ্যের তরফে নির্বাচন কমিশনকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে উপনির্বাচনের সময়ে আইনশৃঙ্খলার দিকে কড়া নজর থাকবে প্রশাসনের।