কলকাতা: গরু পাচার চক্রের তদন্তে আরও অগ্রসর হল সিবিআই। ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য চার বিএসএফ কর্তাকে ডেকে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থা। এছাড়া একজন ডিআইজি, দু’জন অ্যাসিসটেন্ট কমান্ড্যান্ট ও একজন ডেপুটি কমান্ড্যান্টকেও রয়েছেন। সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদ নিয়ে ওই বিএসএফ কর্তা চিঠি দিয়ে তদন্তকারীদের কাছে সময় চেয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ সীমান্তের দায়িত্বে থাকা যে সব বিএসএফের শীর্ষকর্তা ও আধিকারিক ছিলেন তাদের তালিকা বানায় সিবিআই। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে বিএসএফের তরফেই সেই তালিকা পাঠানো হয়েছিল। গত সপ্তাহে ওই তালিকা পাওয়ার পরই এই সপ্তাহে সিবিআই এই তলব করেছে। জানা গিয়েছে এই তালিকায় আরও কিছু বিএসএফ কর্তার নাম রয়েছে। তাদেরও সম্ভবত ডেকে পাঠানো হবে। গরু পাচার চক্রে ধৃত এনামুলক হক ও বিএসএফ কর্তা সতীশ কুমারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। তাদের বয়ানের ভিত্তিতে অনেক তথ্য এসেছে সিবিআইয়ের হাতে। তার উপর ভিত্তি করেই এবার তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন অফিসাররা।
শুক্রবার সকালে আত্মসমর্পণ করে গরু পাচার চক্রের মূল চক্রী এনামুল হক। আদালত সূত্রে খবর, তাকে নিজেদের হেফাজতে আবেদন করেছিলেন সিবিআইয়ের আইনজীবীরা। এনামুলকে হেফাজেতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালাতে চেয়েছিল সিবিআই। কিন্তু এনামুলের আইনজীবীরা অভিযুক্তের জামিনের জন্য আবেদন করেন। তাঁদের বক্তব্য ছিল গত নভেম্বর মাসে এনামুলকে দিল্লি থেকে সিবিআই গ্রেফতার করেছিল। তখনই অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েছিল এনামুল। এখন জামিনের মেয়াদ বাড়ানো না হলে তাকে সিবিআই হেফাজতের নিতে পারে না। এর উত্তরে সিবিআইয়ের তরফে এই তথ্য জানানো হয় আদালত যদি এনামুল হক এবং সতীশ কুমার দু’জনকেই জামিন দেয় তবে তারা প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করতে পারে। এমনকী প্রভাব খাটিয়ে তদন্তের কাজে বাধা দিতে পারে বলেও জানান সিবিআইয়ের আইনজীবীরা। এরপরই আদালত এনামুল এবং সতীশ দুজনকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়।