কলকাতা: ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় নিহতদের পরিবারবর্গদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি এবার হিংসার এলাকাগুলির দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিকদেরও জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করল সিবিআই৷
কোচবিহার থেকে রাজ্য পুলিশের আধিকারিক এলেন সিবিআই দফতরে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। তার পরেই সিবিআই এর পক্ষ থেকে রাজ্য পুলিশের ডিজির কাছ থেকে বড় ঘটনাগুলির তথ্য জানতে চাওয়া হয়। তারই জেরে মঙ্গলবার সল্টলেকে সিবিআই দফতরে আসেন কোচবিহার জেলার পুলিশ আধিকারিক।
সিবিআই সূত্রের খবর, কোচবিহারে মোট ৩২২টি ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনার অভিযোগ জমা পড়ে। সেই ঘটনাগুলির মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার নথি আজ কোচবিহার পুলিশের পক্ষ থেকে সিবিআই দফতরে জমা করা হয়৷ এছাড়াও রাজ্যের প্রতিটি জেলার পুলিশ আধিকারিকদের থেকে অভিযোগের তদন্তের নথি চেয়ে পাঠিয়েছে সিবিআই। আজ থেকে রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকে সিবিআইকে দেওয়া শুরু হয়েছে ভোট পরবর্তী ঘটনার যাবতীয় নথি। কোচবিহারের পাশাপাশি ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট থেকে এলেন এক পুলিশ আধিকারিক। তাঁর কাছ থেকেও এলাকার ভোট পরবর্তী হিংসার যাবতীয় নথি সংগ্রহ করেন তদন্তকারীরা৷
ভোট পরবর্তী হিংসার মামলার তদন্তে এসে রাজ্য সরকারকেই কাঠগড়ায় তুলে আদালতে রিপোর্ট জমা দিয়েছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন৷ কমিশনের তরফে আদালতে জমা দেওয়া রিপোর্টে স্প্টভাবে রাজ্যের কুখ্যাত দুষ্কৃতীদের তালিকা তুলে দেওয়া হয়৷ ঘটনাচক্রে তাতে নাম রয়েছে রাজ্যের একাধিক দাপুটে মন্ত্রী ও নেতার৷ এরপরই এই মামলার তদন্তভার আদালতের নির্দেশে বর্তেছে সিবিআইয়ের হাতে৷ যার জেরে গত রবিবার তৃণমূলের মুখপত্রে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছিল, ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই৷ কারণ, ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় নিহত ২১ জনের মধ্যে ১৬ জন তৃণমূলের৷ অন্যদিকে সিবিআই তদন্ত প্রক্রিয়ার মাঝেই গত রবিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনে ফের রাজনৈতিক খুনের শিকার হন এক বিজেপি কর্মী৷ ফলে প্রকাশ্যে না হলেও একান্ত আলাপচারিতায় তৃণমূল নেতৃত্বরাও মানছেন, সিবিআইয়ের তৎপরতায় বাড়ছে চাপ৷