বাঁকুড়া: আদিম মানুষরা কি এই গুহার ভিতরেই থাকত? গুহার ছবি দেখে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। কিন্তু বাঁকুড়ার জঙ্গলে যে প্রাচীন গুহার সন্ধান মিলেছে তা আদতে এসবের ধারে-কাছ দিয়ে যায় না। রানিবাঁধ এলাকার গঙ্গাজলঘাঁটি ব্লকের জঙ্গলমহলে পোড়া পাহাড়ের মাঝামাঝি এলাকায় যে প্রাচীন গুহার সন্ধান মিলেছে, তা আদতে ইউরেনিয়াম খনি ছিল। এই গুহার সঙ্গে আদিম যুগের কোনও সম্পর্কই নেই।
আরও পড়ুন- ধনতেরসে রাশি মেনে জিনিস কিনলে বছরভর লক্ষ্মী থাকবেন ঘরে!
সম্প্রতি এই গুহার কতকগুলি ছবি সামনে এসেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, গুহা একটি জায়গায় দু’ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছে। এছাড়াও দু’দিকে মোট ৭টি কুঠুরি পাওয়া গিয়েছে। গুহার গঠন দেখে অনেকের অনুমান, এই জায়গায় হয়তো আদিম মানুষ থাকত। তবে আদতে এটা যে সত্যি নয় তা বলাই বাহুল্য। জানা গিয়েছে এই জায়গায় একটি সংস্থা ইউরেনিয়াম সংগ্রহের কাজ শুরু করেছিল প্রায় ৪০ বছর আগে। কিন্তু তা মাঝপথে বন্ধ হয়ে যায়। সেই থেকেই এই গুহার উৎপত্তি।
তবে এখন কী করা হবে এই গুহা নিয়ে? জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে একাধিক বন্য প্রাণীর বাস এই ‘আদিম’ গুহায়। কিন্তু পরবর্তী কালে এই গুহাকে কেন্দ্র করে পর্যটন বাড়ান হতে পারে বলেও অনুমান করা যায়। বাঁকুড়ার পর্যটন এমনিতেই খুব বিখ্যাত। তার মধ্যে যদি এমন এক গুহাকে পর্যটনের মধ্যে সামিল করা যায় তাহলে আরও বেশি মাত্রায় মানুষ আসবে জেলায়, এমনই মনে করছে প্রশাসন। তাই সেই প্রেক্ষিতেই তোড়জোড় নেওয়া শুরু হতে পারে।