Aajbikel

গরু পাচারের প্রায় ১৩ কোটি টাকা নগদে নেন কেষ্ট, জমা দেন স্ত্রী-কন্যার অ্যাকাউন্টে: দাবি ইডির

 | 
চিরদিন কাহারও সমান নাহি যায়! একথা হারে হারে টের পাচ্ছেন অনুব্রত!

 নয়াদিল্লি: বেআইনি ভাবে গরু পাচার করে কোটি কোটি টাকা লাভ করেছিলেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল৷ সেই টাকার পরিমাণ নেহাত কম নয়৷ ১২ কোটি ৮০ লক্ষ ৯৪ হাজার ২৩৭ টাকা। আর পুরোটাই তিনি নিয়েছিলেন নগদে।


গরু পাচার থেকে আয়ের এই বিপুল পরিমাণ টাকা অনুব্রত ছড়িয়ে দিয়েছিলেন তাঁর প্রয়াত স্ত্রী ছবি মণ্ডল, মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল ও তাঁদের বিভিন্ন সংস্থার নামে থাকা বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে৷ বৃহস্পতিবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে অনুব্রত, সুকন্যা ও মণীশ কোঠারিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দায়ের করে সেই তথ্য তুলে ধরে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।


ইডি-র আরও দাবি, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে নগদে পুঁজি জমা করার পাশাপাশি গরু পাচারের টাকা দিয়েই  স্ত্রী ও কন্যার নামে ভোলে বোম রাইস মিল কিনেছিলেন অনুব্রত। এর জন্য ১.৫১ কোটি টাকা খরচ করেছিলেন তিনি৷ এছাড়াও মেয়ে  সুকন্যা ও বাড়ির পরিচারক বিদ্যুৎবরণ গায়েনের নামে ২.৪২ কোটি টাকায় নীড় ডেভেলপার নামের সংস্থা কিনেছিলেন কেষ্ট। এই টাকাও এসেছিল গরু পাচারের আয় থেকেই। এখানই শেষ নয়, সুকন্যা আর বিদ্যুতের নামে এএনএম অ্যাগ্রোকেম নামের আরও একটি সংস্থা কেনা হয়। এর জন্য খরচ হয়েছিল মাত্র ১ লক্ষ টাকা৷ গরু পাচার থেকে আসা বাকি টাকা লেনদেন হয়েছিল বেনামে।

ইডির দাবি, নিজের ‘রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক প্রভাব’ খাটিয়েই গরু পাচার চক্রের মূল হোতা এনামুল হককে মদল করচেন তৃণমূলের এই দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা। এনামুল ও তাঁর সাগরেদদের সুরক্ষার বন্দোবস্তও করতেন তিনি। এর বিনিময়েই গরু পাচার থেকে আসা আয়ের মোটা অংশ পৌঁছল অনুব্রতের হাতে। গরু পাচারের টাকাতেই ২০১৫-১৬ সাল থেকে কেষ্টর পরিবারের সম্পত্তি ফুলেফেঁপে উঠতে থাকে। এখনও পর্যন্ত অনুব্রত ও তাঁর পরিবারের ১১ কোটি ২৬ লক্ষ টাকার সম্পত্তি আটক করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

Around The Web

Trending News

You May like