কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় র্যাগিং নিয়ে চর্চা আরও বেশি করে শুরু হয়েছে। যে কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে র্যাগিং যাতে একদম বন্ধ হয়ে তার পক্ষে আওয়াজ তুলছেন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিশেষজ্ঞরাও। এবার এই ঘটনার প্রেক্ষিতে অ্যান্টি র্যাগিং কমিটির সুপারিশ কার্যকর করার আবেদন করলেন এক আইনজীবী। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলা দায়রের অনুমতি দিয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টে কেরলের এক মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আর কে রাঘবন কমিটি কিছু সুপারিশ করেছিল অ্যান্টি র্যাগিং নিয়ে। ২০০৭ সালের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর এই কমিটি তৈরি করা হয়। সেই কমিটির সুপারিশ কার্যকর করার আবেদন কলকাতা হাইকোর্টে জানিয়েছেন আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু কী বলা হয়েছিল ওই রিপোর্টে? জানা গিয়েছে, ওই রিপোর্টে উল্লেখ ছিল, সিনিয়র এবং জুনিয়রদের আলাদা রাখার কথা। এই ইস্যুতে প্রাক্তন কোনও বিচারপতির নেতৃত্বে কমিটি তৈরি করে এই রিপোর্ট কার্যকর করার আবেদন জানানো হয়েছে।
আপাতত যাদবপুরের ঘটনার পর বেশ কিছু ছাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেল ছেড়ে চলে গিয়েছে বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। তাঁরা কারা, কেনই বা হস্টেল ছেড়ে চলে গেল, এই সব প্রশ্নের উত্তর পেতে মরিয়া তারা। ছাত্রমৃত্যুর সঙ্গে তাঁদের কোনও যোগ আছে কি না, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ এদিকে আরও একটি বিস্ফোরক তথ্য সামনে এসেছে। হস্টেলের একের পর এক ছাত্র ও কর্মীকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে মৃত ছাত্র স্বপ্নদীপকে জোর করে বিবস্ত্র করা হয়েছিল! ধৃত প্রাক্তনী সৌরভ চৌধুরীর কাছ থেকে তারা গেঞ্জি ও হাফ প্যান্ট উদ্ধারও করেছে। এবার সেগুলি মৃত ছাত্রেরই কিনা, তা জানা বাকি।