কলকাতা পুরসভায় প্রশাসক নিয়োগ নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ হাইকোর্টে, ডিভিশনে গেল মামলা

কলকাতা পুরসভায় প্রশাসক নিয়োগ নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ হাইকোর্টে, ডিভিশনে গেল মামলা

কলকাতা: করোনা আবহে আগেই স্থগিত হয়ে গিয়েছে কলকাতা পুরসভার নির্বাচন৷ মাহামারীপ এই পরিস্থিতিতে পুরপরিষেবা যাতে অব্যাহত থাকে, তা নিশ্চিত করতে কলকাতা পুরসভার ইতিহাসে প্রথম বসানো হয়েছে বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর বা প্রশাসক৷ রাজ্যের কোনও প্রশাসনিক আধিকারিক না হয়েও পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম কলকাতা পুরসভার প্রশাসক পদে বসেছেন৷ আর এই নিয়ে শুরু হয়েছে মামলা-মোকদ্দমা৷ সরব হয়েছেন রাজ্যপাল৷ কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চে নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা গেল ডিভিশন বেঞ্চে৷

কলকাতা পুরসভার বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর নিয়োগ সংক্রান্ত সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানিয়েছেন মামলাকারীরা৷ গত বৃহস্পতিবার বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটরকে এক মাসের জন্য কেয়ারটেকার হিসাবে দায়িত্ব চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদার৷ এবার সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের হয়েছে বলে কলকাতা হাইকোর্ট সূত্রে খবর৷

সিঙ্গেল বেঞ্চের পর্যবেক্ষণকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানানো হয়েছে, সিঙ্গল বেঞ্চের থেকে যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সেই নির্দেশ তারা মানবেন না৷ কারণে, মামলাকারীরা মনছেন, সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ যথাযথ নয়৷ সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এই মামলা ডিভিশন বেঞ্চের নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে৷ বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর নিয়োগ আইনবিরুদ্ধ বলেও দাবি করা হয়েছে মামলাকারীদের তরফ৷ ফলে ‘আইনবিরুদ্ধ’ বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটরকে এক মাসের জন্য কেয়ারটেকার হিসেবে কাজ চালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি যথাযথ নয় বলেও দাবি করা হয়েছে মামলাকারীদের তরফে৷ফলে, ডিভিশন বেঞ্চে দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা৷

কলকাতা হাইকোর্ট সূত্রে খবর, আগামী সপ্তাহে এই মামলার বিচার-প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে৷ আগামী সপ্তাহে এই মামলা যখন কলকাতা হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চে উঠবে তখনই বোঝা যাবে অ্যাডমিনিস্ট্রেটর নিয়োগের ভবিষ্যৎ! খবর হাইকোর্ট সূত্রে৷

অন্যদিকে, কোন প্রক্রিয়ায় কলকাতা পুরসভায় প্রশাসক নিয়োগ করা হল, তা জানতে চেয়ে জোড়া টুইট করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর৷ মুখ্যসচিবের থেকে ব্যাখ্যা না পেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর থেকে তথ্য সরবরাহ করার আর্জি জানিয়েছেন রাজ্যপাল৷ কলকাতা পুরসভার প্রশাসক বসানো ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল৷ তাঁকে না জানিয়ে প্রশাসক বসানো হয়েছে বলেও দাবি করেন ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল৷ তাঁর অনুমতি চাওয়া হয়নি কেন? টুইটারে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যপাল৷ সংবিধানে ১৬৭ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী মুখ্যমন্ত্রীর থেকে তথ্য চেয়েছেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান৷ বৃহস্পতিবার টুইট করে রাজ্যপাল জানিয়েছেন, ‘‘মুখ্যসচিবের কাছ থেকে কোনও সাড়া পায়নি৷ সেই কারণে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জানতে চেয়েছি৷ গতকাল জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বিস্তারিত তথ্য চেয়েছি৷ রাজ্যপালকে তথ্য সরবরাহ করা মুখ্যমন্ত্রীর কর্তব্য৷ ১৬৭ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী মুখ্যমন্ত্রীর এই কর্তব্য পালন করেন৷ এই বিজ্ঞপ্তির গভীর তাত্পর্য আছে৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *