কলকাতা: নেতাজির ট্যাবলো বিতর্ক এবার কলকাতা হাইকোর্টে। এই ইস্যু নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। মামলা দায়ের করেছেন আইনজীবী রমাপ্রসাদ সরকার। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে ওই জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। কেন বাদ রাখা হল রাজ্যের নেতাজির ট্যাবলো? এই প্রশ্ন তুলে দায়ের মামলা হয়েছে। রাজ্যের তৈরি নেতাজির ট্যাবলো সাধারণতন্ত্র দিবসে অন্তর্ভুক্তির দাবি জানান হয়েছে। আগামী সপ্তাহে এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা বলে জানা গিয়েছে।
আসলে কেন্দ্রীয় সরকারের সাধারণতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে মনোনীত হয়নি পশ্চিমবঙ্গের ‘নেতাজি’ ট্যাবলো। তবে শুধু বাংলা নয়, তামিলনাড়ুর ট্যাবলোও বিবেচিত হয়নি। এই কারণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদন জানিয়ে চিঠি লিখেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন। কিন্তু তাঁদের দুজনের আবেদনই খারিজ করে দিয়েছে কেন্দ্র। আগেই এই ইস্যুতে কেন্দ্রের সমালোচনা করে আক্রমণ করেছিল বাংলার শাসক দল। প্রশ্ন তোলা হয়েছিল, নেতাজি বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর রাজ্যের মানুষ বলেই কি এই সিদ্ধান্ত? এখন আদালত পর্যন্ত গড়াল এই ইস্যু। তবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং ট্যাবলো বাতিলের কারণ জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখেছেন। এই ব্যাপারে মুখ খুলেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণও।
কেন্দ্রের তরফ থেকে বলা হয়েছিল যে, ট্যাবলো বাছাই করা হয়েছে পূর্ব নির্ধারিত প্রক্রিয়া মেনে। তাই বাংলার ‘নেতাজি’ ট্যাবলো বাদ পড়া একেবারে ‘কাকতালীয়’ ব্যাপার। এই বিষয় নিয়ে সস্তার রাজনীতি হচ্ছে বলেও কটাক্ষ করেছেন নির্মলা। যদিও এই ব্যাপারে যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ তা নিয়েও ধন্ধ তৈরি হয়েছে। কারণ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর কথায় একদমই স্পষ্ট নয় যে ঠিক কোন নিয়ম বা বাছাই প্রক্রিয়া মেনে বাংলার ট্যাবলো বাদ দেওয়া হয়েছে। তিনি শুধু এই ইস্যুতে জানিয়েছেন, সাধারণতন্ত্র দিবসের ট্যাবলো নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয় বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞ কমিটি। সরকার বা প্রধানমন্ত্রী পদ নেয় না।